বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১২ অপরাহ্ন

ই-পেপার

তাড়াশে মহেশরৌহালী গ্রামের প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের বেহাল দশা

মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
আপডেট সময়: শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১, ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ

করোনা মহামারির কারণে ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। স্কুলগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নেই পদচারণা। কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় সিরাজগঞ্জ জেলা তাড়াশ উপজেলায় মহেশরৌহালী প্রাইমারি স্কুলের অবস্থা বেহাল। প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহৃত হচ্ছে ভাড়াটিয়া বাড়ি হিসেবে। প্রশাসনের নজরদারীর অভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠানটি।

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বন্ধ থাকা হাইস্কুল-কলেজগুলোর অফিস খোলা থাকায় পরিবেশ ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্থ না হলেও প্রাইমারি স্কুলগুলো দেখভালের অভাবে শোচনীয় অবস্থায়। বিশেষ করে প্রধান শিক্ষকের উদাসিনতা ও প্রশাসনের নজরদারীর অভাবে উপজেলার মহেশরৌহালী সরকারি প্রাথমিক  এখন স্থানীয়দের ফসলি সরঞ্জাম রাখা ও তাস খেলার স্থানে পরিনত হয়েছে। এমন কি বিদ‍্যালয়ের ছাদ থেকে বৃষ্টির পানি গরিয়ে পরছে ছাত্র ছাত্রির পড়া শোনার রুমের মধ‍্যে ও গরিয়ে পরছে বৃষ্টির পানি সিরি দিয়ে মাটিতে,এ বিষয় সরেজমিনে গ্রাম বাসিকে ডেকে নিয়ে দেখানো হয়েছে প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের অবস্থা। সরকারী স্কুলটির বিষয় গ্রাম বাসিকে জিজ্ঞাসা করলে মোঃ তোফায়েল ইসলাম বলেন প্রধান শিক্ষক সহ সমস্ত শিকক্ষ এই স্কুলটির প্রতি তাদের অবহেলা অত্যন্ত, এবং এ বিষয় প্রধান শিক্ষকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন স্কুলটি এই অবস্থা থাকবে তুমি যা পার তাই করতে পার আমি পারলে ঠেকাব। এই বিদ‍্যালয়টি 2004 সাল থেকে এখনো পর্যন্ত কোন ছাত্র ছাত্রি ট‍্যালেন্ট ফুলে বৃত্তি পায়নি এমন কি এই স্কুলের শিক্ষক এবং শিক্ষিকা পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের ব্লক বোর্ডে নিজ হাতে প্রশ্ন পত্রের উত্তর লিখে দেন এমনও কর্যকালাপ দেখা গেছে স্কুলটিতে।

শুক্রবার (২৪ জুলাই ) সরজমিনে উপজেলার মহেশরৌহালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির পানি ছাদ থেকে শিক্ষার্থীদে পড়া শোনার রুমের পরছে এবং বিলডিংটি সবসময় ভেজা ও সেঁত সেঁতে হয়ে থাকে এ ভাবে চলতে থাকলে অচিরেই স্কুলটি ধ্বসে পরবে। স্কুলের বারান্দায় গরু-ছাগলের বিষ্ঠা। এছাড়া পাশের আর একটি ভবনে পাটের আঁশ  দিয়ে সম্পূর্ণ বারান্দা ভরপুর। সরকারি ব্যয়ে তৈরি বাউন্ডারি দেয়াল থাকলেও মূলফটক খোলা। ফসলি জিনিস পত্র রাখায় স্কুলের দেয়ালের রঙ ও বিভিন্ন শিক্ষামূলক পেইনটিং ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নষ্ট হয়েছে পরিবেশ। শ্রেণি কক্ষের দরজা ভাঙ্গা থাকায় মাদক সেবনসহ যে কোন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন।
ওই এলাকার বাসিন্দা জহির উদ্দিন ও আলেফ বলেন দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ। মাস্টার,দপ্তরি কেউ খোঁজ খবর নেয়না। আর গেইট খোলা থাকায় স্থানীয়রা গরু-ছাগল বেঁধে মাঠে ঘাস খাওয়ায়।
কয়েকজন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী  বলেন, আমরা এলাকাবাসী স্কুলের বিভিন্ন অনিয়মের কথা প্রধান শিক্ষককে বললেও তিনি উল্টো মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখান
দিনে মহেশরৌহালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় কিছু লোক দিন দুপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় বসে তাস খেলছে। বিদ্যালয়টিতে বাউন্ডারি দেয়াল থাকলেও দেয়ালের নিচে ২-৩ ফিট ফাকা। মাটি ধসে গিয়ে ফাকা হওয়ার কারণে গরু-ছাগলসহ স্থানীয়রা অনায়াসে যাতায়াত করতে পারছে।
এসব বিষয়ে মহেশরৌহালীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় এলাকার লোকজন হয়তো এসব করেছে এগুলোর দায়ভার আমার না।

মহেশরৌহালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি বলেন আমার কোন দোষ নাই।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর