গত বছর করোনার কারনে উপযুক্ত দাম না পাওয়াতে হতাশ হয়ে কষ্টে লালন পালন করা পশুটি বিক্রি না করে রেখে দেন এ বছরের আশায়। কিন্তূ তাদের সে আশায় আবারো গুড়ে বালি হতে যাচ্ছে এমনটাই ধারণা করছেন খামারিরা। বরং এবছর করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কোরবানিতে পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বিয়ানীবাজার উপজেলার খামারিরা। তবে এবছর দেশী খামারিদের কিছুটা স্বস্তি সংক্রমনের খারাপ খবরে ভারত থেকে এ বছর গরু না আসা।
বিয়ানীবাজার পৌর শহর ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন এর খামারিরা দেশীয় গরু লালন পালন করে পশুর হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান ও ভারতীয় বার্মা প্রজাতির কিছু গরু নজর কাড়ছে সকলের।
খামার মালিক মাহিন মিয়া বলেন, করোনার কারনে আমরা অনেকটা পিছিয়ে গেছি। তবে এবার বাজারে দেশীয় গরুর চাহিদা থাকবে যার ফলে ভালো কিছুর আশা করতে পারি। আমার খামারে দেশীয় ষাড় সহ প্রায় ৩১ টি গরু প্রস্তুত করছি এবারের পশুর হাটে বিক্রির জন্য।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ একেএম মোক্তাদির বিল্লাহ বলেন, কোরবানির পশুতে কেউ মোটাতাজা করণে মেডিসিন প্রয়োগ করছে বলে এখন পর্যন্ত আমরা খবর পাইনি। তবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। এ ছাড়াও সরকারি বিধি নিষেধ মেনে যেখানে পশুর হাট বসবে সেখানে আমাদের টিম সেবা দিতে প্রস্তুত।