চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ উপজেলায় সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ আওতাধীন তাড়াশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের গত ২০দিন যাবত অসহনীয় লোড শোডিং এর কারণে জন জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে । দিনে রাতে অধিকাংশ সময় লোড শোডিং কারণে উপজেলার গ্রামগুলোর ভুক্তভোগী জন সাধারন তীব্র গরমে ক্ষোভে ফুসে উঠেছে ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেস বুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকেই লিখছে বিদ্যুৎ যায় না মাঝে মাঝে আসে। সরজমিনে ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর শিয়াল কোল ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ৩০ বছরের পুরাতন লাইনের তার পরিবর্তন ও মেরামতে ৩টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজ চলমান রয়েছে । ফলে বিকল্প ভাবে শাহজাদপুর উপজেলা থেকে ১২ মেগাওয়াটের চাহিদা বীপরীতে ৩ কেভি দিয়ে তাড়াশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিদ্যুৎ সরবাহ চলছে ।
গত ২০দিন যাবত লোড শোডিং এর কারণে এলাকায় মধ্যে রাতে উপজেলাবাসির ঘুম ভাঙ্গে আবার তীব্র গরমের নামাজের সময় বিদ্যুৎ চলে যায় । এ যেন বিদ্যুৎ এর ভেলকি বাজি চলছে যখন খুশি খুশি চলে যায় কিন্তু সহজে আসে না। উপজেলার কাজিপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম, তাড়াশ সদরের আবির হাসান জানান , সারা দিনে ও রাত্রে ঘন্টা পরে ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না ফলে আমরা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি । তাড়াশের কহিতের বিপ্লব হোসেন জানান আজ গরমে ষ্টোক করে ৩ কেজি ওজনের ২টি বয়লার মুরগি মারা গেছে । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেস বুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে রফিকুল ইসলাম লিখেছেন বিদ্যুৎ যায় না মাঝে মাঝে আসে। সাইফুল ইসলাম লিখেছেন ডি,জি,এম সাহেবের ব্যবহার ভালো হলে সার্ভিস ভাল না । গোলাম মোস্তফা লিখেছেন দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি না থাকলে ও তাড়াশে ঘন্টার পর ঘন্টা লোড শোডিং কেন ।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ আওতাধীন তাড়াশ রিজিওয়াল অফিসের ডি,জি,এম মোঃ আশরাফ আলী খান জানান ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ৩০ বছরের পুরাতন লাইনের তার পরিবর্তন ও মেরামতে ৩টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজ চলমান রয়েছে । বিকল্প ভাবে শাহজাদপুর উপজেলা থেকে ১২ মেগাওয়াটের চাহিদা বীপরীতে ৩ কেভি দিয়ে বিদ্যুৎ সেবা চালু রাখা হয়েছে ।