তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের কর্মরত একজন নারী চিকিৎসক কে একদল সন্ত্রাসী প্রাণনাশের হুমকী দিয়েছে। এতে করে তিনি নিরাপত্তা চেয়ে তাড়াশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ফজলে আশিক।
জিডি সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে কর্মরত চিকিৎসক সায়মা ইসলাম ১৩ জুন, হাসপাতালে ডিউিটি শেষে বিকেল পৌনে তিনটার দিকে তার ভাড়া বাসায় যাবার সময়, পৌর সদরের মাটিয়া মসজিদের সামনে ৩/৪ জন লোক তার পথরোধ করে। তারা বিভিন্নভাবে কথা বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং প্রাণনাশের হুমকী দেয়। এ
দের মাঝে তিনি পৌর সদরের পূর্ব মহল্লার মৃত: ভোলা প্রামানিকের ছেলে মো: গোলাম মোস্তফা ও সোনা পাতিল গ্রামের মৃত: আলতাব হোসেনের ছেলে মো: সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাহাদুর কে চিনতে পারেন। ঘটনার পরপরই তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: জামাল মিয়া শোভন কে বিষয়টি তিনি লিখিত ভাবে জানান। এবং মুঠোফোনে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা: মো: আজিজ কে জানান। পরবর্তীতে ১৪ জুন রাতে তিনি একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডিতে তিনি আরো উল্লেখ করেন, ২০১৯ ইং সালের ৩৯ তম বিসিএস এর মাধ্যমে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকে সহকারী সার্জন হিসেবে যোগ দেন। তার স্বামী একজন সেনা কর্মকর্তা (মেজর) হওয়ায় তিনি তার কর্মস্থলে একা থাকেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ ইং সালের ২৬ মে অভিযুক্ত মো: গোলাম মোস্তফা ও মো: সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাহাদুরের নেতৃত্বে, তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: জামাল মিয়া শোভন সহ পাঁচ জন কর্মচারির উপরও হামলা চালায়। ওই মামলায় তারা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
তাড়াশ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো: জহুরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।