পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়ন ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এই ইউনিয়নে মোট জনসংখ্যা ৪২ হাজার ৪শ ৪৫জন। এই লক্ষীপুর ইউনিয়নে এক সময় ছিল রক্তাক্ত জনপদ। এই নামে খ্যাত এখন পাল্টে গেছে তার সার্বিক চিত্র। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসায় বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই সকল প্রতিকুলতা ছাপিয়ে পরিণত হয়েছে শক্তির জনপদ। সন্ত্রাসী, জঙ্গিগোষ্ঠীর অপতৎপরতা কিংবা লাল পতাকা বাহিনী দৌরাত্নে যেখানে স্কুল কলেজে যেতে পারতো না শিক্ষার্থীরা। সেখানে এখন দলবেঁধে শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজে যাওয়া ও এলাকার লোকজন নির্ভয়ে চলাচল করার চিত্র দেখা যায়। যা বর্তমানে লক্ষীপুর ইউনিয়ন উন্নয়নে রোল মডেল হিসেবে ভাসছে।
এপ্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় চিকিৎসা সেবা পাওয়া যেখানে ছিল প্রায় অসম্ভব, সেখানে এখন ঘরের দোড়গোড়ায় উন্নত চিকিৎসাসেবা। কয়েক বছর আগেও যেখানে ঘরে ঘরে শিশুদের ঘুম পাড়ানো হতো সন্ত্রাসী জঙ্গিগোষ্ঠী অপতৎপরতা কিংবা লাল পতাকা বাহিনীর ভয় দেখিয়ে। সেখানে এখন দিন বদলের ছোয়া লেগেছে। কয়েক বছর আগেও রক্তাক্ত এজনপদে হিংসা, খুন, জখম, হত্যা ছিল প্রতিদিনের প্রকাশ্য ঘটনা। কিন্তু এখন সময়ের ব্যবধানে লক্ষীপুর ইউনিয়ন তাদের বিভীষিকাময় রাতের ঘুম হারাম করা অতীত ভুলতে বসেছেন। লক্ষীপুর ইউনিয়নের মানুষ এখন শান্তিতে বসবাস করছেন। রক্তাক্ত জনপদ আজ পরিনত হয়েছে শান্তির জনপদ। আর এশান্তি প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের নেপথ্যে রয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ার।
শেখ আনোয়ার চেয়ারম্যান নিবার্চিত হওয়ার পর থেকে নেমে পড়েন লক্ষীপুর ইউনিয়নের কুখ্যাত ঘোচানো অভিযান। সরকারী সহযোগিতা আর ব্যক্তিগত উদ্যোগে সবমিলিয়ে লক্ষীপুর ইউনিয়নে উন্নয়নে সমৃদ্ব করেছেন তিনি। বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন উন্নয়নে অভূতপূর্ন উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বিভিন্ন জনকল্যানমুলক কর্মসূচী যেমন রাস্তাঘাট নির্মাণ, বিদ্যুতায়ন, শিক্ষা, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন এবং জনগনের কর্মসংস্থাপনের ব্যবস্থাকরণ সহ সার্বিক উন্নতি হয়েছে।
বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ার জানান, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, করোনাকালীন সময়ে নিজের জীবনকে বাজী রেখে লক্ষীপুর ইউনিয়ন বাসীর মাঝে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, নগদ অর্থ, চাল, ডাল সহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করেন। রাস্তাঘাট, ব্রীজ কালভাট সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজ করেছেন তিনি। করোনা কালীন সময়ে খেটে খাওয়া সাধারন মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ করেছেন তিনি। যা উন্নয়নে চিত্র বর্তমানে পাল্টে গেছে লক্ষীপুর ইউনিয়নের।
তিনি আরও বলেন, যে দিন আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহন করেছি। সেদিন থেকে আমার ইউনিয়নের প্রতিটির ওয়ার্ডের মানুষের দৌড়গোড়াই সেবা পৌছে দিয়েছি। আমার ইউনিয়নে বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী বাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান সহ করোনাকালীন সময়ে আমার ইউনিয়নের সাধারন মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ করে যাচ্ছি। সরেজমিনে লক্ষীপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শেখ আনোয়ার চেয়ারম্যান নিবার্চিত হওয়ার পর আমাদের এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।
অতীত ছাপিয়ে শিক্ষা ও শক্তির জনপদে পরিনত হয়েছে লক্ষীপুর ইউনিয়ন। এবং আগামীতে আবার চেয়ারম্যান র্নিবাচিত হলে লক্ষীপুর ইউনিয়নকে রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলবেন বলে মনে করছেন তিনি।
#চলনবিলের আলো / আপন