স্থানীয় লোকাল ট্যাবলয়েট দৈনিক আমাদের বড়াল পত্রিকায় “ফেসবুক কনিকা চাটমোহর পিআইও অফিসে ভুরিভোজ” শিরোনামে ২৩ মে রবিবার প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে, এ সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, চাটমোহর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে ইদানিং সাংবাদিকদের ভুরিভোজ করানো হচ্ছে। উক্ত লেখায় প্রতিবেদক বুঝাতে চেয়েছেন, ইদানিং সাংবাদিকদের ভুরিভোজ করানো হচ্ছে! প্রতিবেদক লেখায় বহুবচন বুঝিয়েছেন। যা ইতি পূর্বে ও বর্তমানে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি।
চাটমোহর উপজেলা থেকে বেশ কয়েটি সংবাদপত্র প্রকাশিত হচ্ছে, এমন ঘটনা ঘটলে এলাকার সকল পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশিত হত, এমনকি স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকেও সংবাদ প্রচার হত। লেখাটি সম্পুর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
প্রতিবেদক তার লেখায় আরোও বুঝিয়েছেন, হান্ডিয়াল থেকে আসা ও হান্ডিয়াল ইউনিয়ন থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক, প্রতিবেদক তার লেখায় হীন মনের পরিচয়দিয়ে বুঝাতে চেয়েছেন হান্ডিয়াল বহিরবিশ্বের ছোট্ট একটি এলাকা।
প্রতিবেদক মনে রাখবেন, হান্ডিয়াল বাংলাদেশের পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা। হান্ডিয়ালে ইতিপুর্বে প্রশাসনিক থানা ছিলো এবং বর্তমানে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র সহ ব্যাংক বিমা, এনজিও, বহু স্কুল ও কলেজ গড়ে উঠেছে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত একটি সংবাদপত্র প্রকাশিত হচ্ছে উক্ত এলাকা থেকে। এজন্য এলাকাটি ছোট্ট করে প্রতিবেদক নিজেকে হীন ও ছোট্ট মনের পরিচয় দিয়েছেন।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল ও সম্মানিত ব্যক্তিদের হেয় এবং মানহানি করার উদ্দেশ্যে উক্ত সংবাদ প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য যে, উক্ত দিনে আমি ও আরেক সাংবাদিক চাটমোহর উপজেলা সদরে কাজের উদ্দেশ্যে যাই, কাজ শেষে আমার প্রিয় ব্যক্তি ও বন্ধুবর জনাব আমিরুল ইসলাম উপ-সহকারী প্রকৌশলী মহোদয়ের সাথে সাক্ষাৎ করি, তখন সময় দুপুর ১.৪০ মিনিট। তার বাড়ি থেকে আনা দুপুরের খাবার তার সাথে খাইতে অনুরোধ করলে আমরা খাওয়ায় অংশগ্রহন করি।
ওই খাওয়ার বিষয়ে সংবাদপত্রের প্রতিবেদক তার মনগড়া মিথ্যা ও বানোয়াট লিখে আমাদের মানহানি করেছে। ভুড়িভোজের বিষয়ে প্রতিবেদক কোন সত্য প্রমান দিতে পারবে না। উক্ত সংবাদপত্রের পাঠন সংবাদটি পড়েই বুঝতে পেরেছেন শুধু মাত্র দুজন সাংবাদিক ও একজন উপ-সহকারী দুপুরের খাবার খাওয়া ভ’ড়িভোজ নাকি সৌজন্য আপ্যায়ন।
প্রতিবেদক হয়ত উক্ত অফিসে তার কোন অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারেনি এ জন্য হিংসাত্মক মনোভাব নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট লিখেছেন। আমি উক্ত প্রকাশিত সংবাদ সহ প্রতিবেদকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি প্রতিবেদক মহোদয়কে হিংসাত্মক মনগড়া মিথ্যা বানোয়াট লেখা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদান্তে
রফিকুল ইসলাম রনি
সম্পাদক ও প্রকাশক
সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো।
#আপন_ইসলাম