হিমেল চন্দ্র রায়,নীলফামারি জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামাুরী জেলার ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের বাগডোকরা গ্রামের ৮নং ওয়ার্ড (খুলখুলি ব্রীজ সংলগ্ন) তেলীপাড়া গ্রামের বাঁশঝাড়ে বসবাস করেন এক নিঃসন্তান দম্পতি। বেশ কয়েক দিন থেকে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এই গৃহবন্দী করোনাকালে কাজ না থাকায় পেটে যেখানে খাবার জুটছে না, সেখানে উল্টো ঝড়ে বাড়িঘর ভেঙে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে নিঃসন্তান এ পরিবারটি।
অসহায় বৃদ্ধ আব্দুল গফ্ফার বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছ থেকে সামান্য সহযোগিতা পাই এতে কয় দিন খামু(খাবো)। গভীর দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, “হামাক(আমাকে) দেখার কাহো(কেউ) নাই। অশ্রুভেজা কন্ঠে বৃদ্ধার স্ত্রী বলেন “এটাই আমাদের দুঃখ।
পরিবারটির ছবিসহ নিউজে আসলে আজ ৫ তারিখ মঙ্গলবার নীলফামারি জেলা কমিটির, জাতীয় মহিলা পার্টির আহবায়ক তৌহিদা জ্যোতির নিজস্ব অর্থায়নে ঘরের টেউটিন সহ খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন ও পরবর্তীতে এরকম ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকবেন বলে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা পার্টির, জেলা কমিটির সদস্য কল্পনা আক্তার। এছাড়াও তিনি উক্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে স্থানীয় সাংসদ, ইউএনও এবং জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান।
সরেজমিনে জানা যায়, উক্ত গ্রামের নিঃসন্তান দম্পতি দিন মজুর আব্দুল গফ্ফার (৬৩) ও স্ত্রী জাহিমা বেগম (৫৭) গত সপ্তাহে প্রচন্ড ঝড়ে একমাত্র থাকার ঘরটি ভেঙে যায়। করোনায় গৃহবন্দি থাকার কারণে কর্মহীন হয়ে অনাহারে দিনাতিপাত করছে। কোনোদিন শুধু পাটশাক খেয়েও দিন কাটাচ্ছেন।
অপরদিকে সাংবাদিক হিমেল চন্দ্র রায় ঘটনাটি সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অত্র এলাকার চেয়ারম্যান রিমন চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমার নিজস্ব তহবিল থেকে সেখানে চাল ও ঘর তৈরীর জন্য টিন পাঠানো হয়েছে। ঘর নির্মানের জন্য শ্রমিক সহ দেওয়া হয়েছে। কাজ চলছে আজ বা কালকের মধ্যেই কাজ শেষ।