নাটোরের বড়াইগ্রামে স্বামীর বাড়িতে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে গৃহবধু হাফিজা খাতুন (২০)। সে বড়াইগ্রাম উপজেলার আটুয়া গ্রামের হাসান মাসুদের স্ত্রী ও একই গ্রামের আব্দুল হালিমের কন্যা। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে , প্রায় দেড় বছর আগে হাফিজা খাতুন প্রেমের টানে পিতার বাড়ি থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে লুকিয়ে হাসান মাসুদের সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয় । এ বিয়েতে বর-কনে উভয়ের পিতা-মাতার সম্মতি না থাকায় লুকিয়ে এদিক-সেদিক দিনযাপন করতেছিল তারা। বিষয়টি শুনে মাঝগাঁও ইউপি সদস্য বাবলু হোসেন সালিশী সমঝোতায় মেয়ের কাছে থাকা নগদ টাকা সহ স্বামীর বাড়িতে তুলে দেন। কিন্তু হাফিজার শশুর-শাশুড়ী মন থেকে এ বিয়ে মেনে নিতে না পারায় বাড়িতে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। দম্পতির ৬ মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তানও আছে। গত রোববার হাফিজার সাথে স্বামী, শশুর-শাশুড়ীর ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে তাকে মারপিটও করা হয়। হাফিজা সেই ক্ষোভে-রাগে ও অভিমানে সোমবার(১৯ এপ্রিল)সকাল ৭টার দিকে শয়ন কক্ষের দরজা আটকিয়ে ইঁদুর মারার গ্যাস ট্যাবলেট খায় সে। বিষয়টি জানাজানি হলে শ্বশুরালয়ের লোকজন তাকে নাটোর সদরের আমেনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান কার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
#CBALO/আপন ইসলাম