বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

সলঙ্গায় মানা হচ্ছে না লকডাউন

কে,এম আল আমিন :
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১, ৬:২১ অপরাহ্ণ

লকডাউনে সলঙ্গা থানার ৬ টি ইউনিয়নের হাট- বাজার সহ বেশির ভাগ গুরুত্বপুর্ণ স্থানে তেমন মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সলঙ্গা থানা সদর বাজার, হাটিকুমরুল রোড গোল চত্বর,সাহেবগঞ্জ বাজার, নলকা মোড়,ঘুড়কা বাজার, ভুইয়াগাঁতী বাসস্ট্যান্ড,হরিনচড়া,দবিরগঞ্জ, মালতি নগর আমতলা, এরান্দহ বাজার,জোড়দিঘি বাজার,সুতাহাটি বাজার সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের গুরুত্বপুর্ণ স্থানে লোকসমাগম প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। মানা হচ্ছে না তেমন স্বাস্থ্যবিধি। অনেকে মাস্ক ছাড়াই চলাফেরা করছেন। বাজারের দোকানগুলোতে নেই কোন সামাজিক দুরত্ব। হোটেলগুলোতে গাদাগাদি করে বসে সবাই খাচ্ছে মনের আনন্দে। লকডাউন চলছে এটা যেমন মানতে রাজি নয় হোটেল কর্তৃপক্ষ এবং তেমন ভাবে করোনা মোনেই করছেন না হোটেলের কাস্টমাররা। চায়ের দোকানগুলোতেও চলছে অবসর আড্ডা। স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীরাও থুতনিতে মাস্ক লাগিয়ে দেদারছে কোচিং করছে আর ঘুরছে। লক ডাউনের শুরু গত ৫ এপ্রিল সোমবার ছিল সলঙ্গা থানা সদরের সাপ্তাহিক হাট,মঙ্গলবার ছিল পাঁচলিয়ার উল্লেখযোগ্য হাট,বুধবার ছিল নলকার নামকরা হাট,আজ বৃহ:বার এলাকার প্রাচীনতম সাহেবগঞ্জ হাটের চিত্রও ছিল করোনার আগের মতই। লকডাউনে থানা সদর স্লুইচ গেইট চৌরাস্তার মোড়,নতুন ব্রিজ মাদ্রাসা মোড়ে জানজট যেন চরম আকার ধারন করছে। থানা সদর ও হাটিকুমরুল রোড গোলচত্বর এলাকায় অটো রিক্সা, বাইক, সিএনজি, ভ্যানগাড়ী সহ সকল যানবাহন চলছে রীতিমত পাল্লা দিয়ে। অনেক ড্রাইভার ও যাত্রীদের মুখে মাস্ক নেই। আর যাদের মাস্ক রয়েছে তাদের মধ্যে অনেকের আবার পকেটে, কারও রয়েছে থুতনিতে। থুতনিতে মাস্ক থাকা পথচারী ইয়াকুব আলী (৬০)কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, বয়স ভারি হয়েছে,মুখে মাস্ক রাখলে দম বন্ধ হয়ে আসে বাবাজি, নি:শ্বাস নিতে পারিনা। তাই পুলিশের ভয়ে থুতনিতে রাখছি। যদি কোন সমস্যা দেখি তাহলে মুখে উঠিয়ে দিব। পকেটে মাস্ক থাকা অটো রিক্সার যাত্রী নুর হোসেন (৩৫) বলেন, মাস্ক পড়তে ভালো লাগেনা। দরকার হলে লাগাব, তাই পকেটে রাখছি। মাস্ক হাতে নিয়ে থানা সদর ডাক বাংলো এলাকায় এক কোচিং পড়ুয়া ছাত্র সজিব(১৯) জানায়, স্যার বলছে,সব সময় মাস্ক কাছে রেখ।সমস্যা দেখলে মুখে দিও। এতক্ষণ মুখেই ছিল এইমাত্র হাতে নিলাম। স্বাস্থ্য সচেতনতা ও লকডাউন মেনে চলার ব্যাপারে সলঙ্গা থানা পুলিশ ও হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশের সচেতনতামুলক মাস্ক ও লিফলেট বিতরন সহ লক ডাউনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করছে। এ ছাড়াও লকডাউন মেনে চলতে রায়গঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও সলঙ্গা বাজার কর্তৃপক্ষ মাইকিং করতেও দেখা গেছে। লকডাউনে কার্যকর ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনার প্রকোপ থেকে রক্ষার্থে সাধারণ মানুষকে সতর্ক ও সচেতন হওয়ার জন্য সর্বদা মাঠে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন, সলঙ্গা থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী।

 

#CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর