রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

ভাঙ্গুড়ায় ৮৫ বস্তা চালের রহস্যের খোঁজে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল, ২০২১, ৬:০৬ অপরাহ্ণ

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মালিকানা বিহীন ৮৫ বস্তা চালের রহস্যের খোঁজে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পেলেই মালিকাবিহীন ৮৫ বস্তা চালের প্রকৃত রহস্য উন্মোচন হবে এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে মালিকানা বিহীন চালগুলি দিলপাশার ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে আবদ্ধ করে সিলগালা করে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব,(ভিজিডি) কর্মসূচির চালের গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসির বাধার মুখে ৮৫ বস্তা চাল রেখে পালিয়ে যায় একটি চক্র। পরে এলাকাবাসি উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের পাশের শ্মশানঘাট এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (২৫মার্চ) গভীর রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাজির হয়ে, ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের সহায়তায় পরিত্যক্ত অবস্থায় চালের বস্তা গুলি উদ্ধার করেন। তবে ওই পরিত্যাক্ত চালের বস্তাগুলির মালিকানা কেউ দাবী করেন নি।অভিযোগ উঠেছে, ইউনিয়ন পরিষদের স্টোর রুম থেকে ওই চাল গুলো স্থানীয় দুই ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রি করা হয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ।

সরকারি চালের বস্তা জব্দকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.কাওছার হাবিবের নেতৃত্বে এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা খাদ্য (কর্মকর্তা) নিন্ত্রয়ক আইরিন নাহার, সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদের খাদ্য বিতরণ সমন্বয়কারি ও উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম, দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা আয়ুব আলী ,থানা পুলিশের কয়েক জন উপস্থিত ছিলেন। সরকারি বিনামূল্য বন্টন যোগ্য এ খাদ্যের ডিলার অথবা পাচার কারি কারোর তাৎক্ষণিক সন্ধান মেলেনি।

তবে এলাকাবাসীর অভিযাগ,উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের মাগুড়া গ্রামের রফিজ মন্ডলের ছেলে খোকন ও হাট উধুনিয়া গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে বাবুল আক্তার গত বৃহস্পতিবার বিকালে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যদের কাছ থেকে ওই চাল ক্রয় করেন। পরে সরকারি সিলযুক্ত বস্তা পরিবর্তন করে অন্য বস্তা ব্যবহার করেন। এভাবে ওই চালের বস্তাগুলি একটি ট্রলি বোঝাই করে নিয়ে যাওয়ার পথে স্থানীয় লোকজন বাধা দেন । উপায় না পেয়ে ট্রলির চালক চালের বস্তাগুলো শ্মশান ঘাটের নিকট রাস্তার পাশে ফেলে রেখেই দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।

এবিষয়ে দিলপাশার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অশোক কুমার ঘোষ পরিষদের স্টোর থেকে চাল বিক্রির কথা অস্বীকার করে বলেন,গত বুধবার এবং বৃহস্পতিবার সুবিধা ভোগীদের মাঝে ভিজিডি কার্ডের চাল বিতরণ করা হয়। উপকার ভোগীরাই এই চাল গুলো বিক্রি করে থাকতে পারে ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, মালিকানা বিহীন ৮৫ বস্তা চালের প্রকৃত রহস্য জানতে ৫সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হরা হয়েছে। তদন্ত কমিটি কাজ করছেন। কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

#CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর