রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

বাঁশ কাঠের ফ্রেমে লাল সবুজ কাপড় জড়িয়ে তৈরি অস্থাায়ী স্মৃতিস্তম্ভ ; আটঘরিয়ায় ভিত্তিপ্রস্তরে এবারও কেটে গেল প্রায় দুইযুগ

আটঘরিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১, ৪:৩১ অপরাহ্ণ

কয়েকজন ডেকোরেটর শ্রমিক সাজিয়ে তুলছেন স্মৃতিস্তম্ভটিকে। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পাবনার-চাটমোহর সড়কের পাশে একটি ফাঁকা স্থানে বাঁশ কাঠের ফ্রেমে লাল সবুজ কাপড় জড়িয়ে তৈরি হয়েছে সবুজ কাপড়ে ঘেরা অস্থাায়ী স্মৃতিস্তম্ভ। স্থানীয়দের কয়েকেজন জানান, আগে ভিত্তিপ্রস্তরেই ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হতো। এখন অস্থায়ী স্মতিস্তম্ভ হচ্ছে। এটাও একপ্রকার সান্তনা। এখানে একটি স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি হয়নি। এটা দুঃজনক।

পাবনার আটঘরিয়া প্রশাসনের কার্যালয়ের প্রধান ফটোকের ডান পাশে একটি ভিত্তিপ্রস্তর ফলক অযত্ন আর ধুলাবালি ময়লায় মলিন হয়ে পড়ে আছে। এখানে একটি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ তৈরির জন্য ২০০১ সালে ফলকটি উদ্ধোধন করেছিল। কিন্তু এর পর প্রায় দুইযুগ পার হয়েও স্মৃতিস্তম্ভটি আজও নির্মিত হয়নি।

তাই ক্যালেন্ডারের পাতা ওলটাতে ওলটাতে যখননি স্ব্ধীনতা দিবস বা কোনো বিশেষ বিশেষ দিন উপস্থিত হয়, তখন উপজেলা প্রশাসন দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বাঁশ কাঠের ফ্রেমে কাপড় জড়িয়ে একটি অস্থায়ী স্মৃতিস্কম্ভ তৈরি করা হয়। সেখানেই শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হয় এলাকাবাসিকে। এবারেরর স্বাধীনতা দিবসে একই অবস্থা। বাঁশ কাঠ দিয়ে নামকাওয়াস্থে বানিয়ে দেওয়া স্মৃতিস্তম্ভই স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে উপজেলাবাসীকে। ফলে বেশ ক্ষুদ্ধ তারা।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সারা দেশের মতো আটঘরিয়া উপজেলাকে ঘিরেও রয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ন ইতিহাস। এখানে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন বহু মুক্তিযোদ্ধা। সম্ভব হারিয়ে অনেকেই হয়েছেন বীরঙ্গণা। ফলে উপজেলাবাসীর হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে শ্রদ্ধা মেশানো আবেগ রয়েছে। এই আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ও উপজেলার মুক্তিযেদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে ২০০১ সালে তৎকালীন উপজেলা নিবার্হী অফিসার ইউএনও মুক্তিযোদ্ধা রফিক উদ্দিন একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরির উদ্যোগ নেন।

সে অনুযায়ী তিনি উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে ১ আগষ্ট একটি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বদলীজনিত কারনে আটঘরিয়া উপজেলা ত্যাগ করলেও স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মানের আর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। উপায় না পেয়ে উপজেলাবাসী কয়েক বছর বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে ভিত্তিপ্রস্তরইে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর উপজেলা প্রশাসন সেখানে অস্থায়ীভাবে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করতে থাকেন। যার ধারাবাহিকতায় এবারও বাঁশ কাঠের ফ্রেমে কাপড় জড়িয়ে একটি অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে।

সাবেক আটঘরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জহুরুল হক জানান, ১৯৯৬ সালে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরির জন্য একবার প্রকল্প দেওয়া হয়েছিল। পরবতীতে জোট সরকার ক্ষমতা এসে সে প্রকল্প বাতিল করে। এরপর উপজেলা প্রশাসন বহুবার স্মৃতিস্তম্ভ তৈরির জন্য প্রকল্প জমা দিয়েছে। কিন্তু তা অনুমোদন হয়নি। ফলে স্মৃতিস্তম্ভ হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর