বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪১ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
তিন বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল নওয়াপাড়া রাতভর আ.লীগ সন্ত্রাসী আতঙ্ক এনসিপির ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সদস্য সচিব হলেন টাঙ্গাইলের ওয়াহেদুজ্জামান সুমন ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার রায়ে আবু সাঈদের পরিবার সন্তুষ্ট “জামাতকে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিই ভাবিনা” বিএনপি প্রার্থী আজিজ নান্দাইলে এলজিইডি উপ-সহকারী প্রকৌশলীর ঘুষ নেয়ার ভিডিও ভাইরাল, জনমনে ক্ষোভ এনসিপির ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সদস্য সচিব হলেন টাঙ্গাইলের ওয়াহেদুজ্জামান সুমন নান্দাইলে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইয়াসের খান চৌধুরী সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: কিশোরগঞ্জ ৬টি আসনে প্রচারণায় এগিয়ে জামায়াত

তারল্য সংকট মোকাবেলায় বৈশ্বিক পদক্ষেপ জরুরি : প্রধানমন্ত্রী

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ, ২০২১, ১২:২৬ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ কভিড-১৯ ও কভিডপরবর্তী সময়ে তারল্য সংকটের দ্রুত সমাধান ও ঋণের বোঝা লাঘবে সমন্বিত বৈশ্বিক পদক্ষেপ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন

তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ও কভিড-১৯ পবরবর্তী সময়ে তারল্য সংকট মোকাবেলা ও ঋণের বোঝা লাঘবে আমাদের উচ্চাভিলাষী ও সমন্বিত বৈশ্বিক কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন।’ প্রধানমন্ত্রী ‘ইন্টারন্যাশনাল ডেটআর্কিটেকচার এন্ড লিকুইডিটি’ ওপর ‘ফাইন্যান্সিং ফর ডেভেলপমেন্ট ইন দ্য এরা অব কভিড-১৯ এন্ড বিয়ন্ড ইনিশিয়েটিভ’ শীর্ষক রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন।

কভিড-১৯ এর মানবিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পুরো বিশ্বকে যখন অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে, তখন উদ্ভুত পরিস্থিতি থেকে দ্রুত উত্তরণ নিশ্চিতে জরুরি ও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হোলনেস ওএন, পিএম ও জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতারেস বিশ্ব-নেতাদের এই বৈঠকের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তারল্য সরবরাহে ও ঋণ সমস্যা সমাধানে অধিকতর সাহসী ও সমন্বিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব তুলে ধরাই এই উচ্চ পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকের লক্ষ্য।

২০২০ সালে ফাইন্যান্সিং ফর ডেভেলপমেন্ট ইন দ্য এরা অব কভিড-১৯ এন্ড বিয়ন্ড ইনিশিয়েটিভ (এফএফডিআই)’র পৃষ্ঠপোষকতায় মহামারি থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তার লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে অনুষ্ঠিত কয়েকটি বৈঠকের পর এই ভার্চুয়াল বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলো।

শেখ হাসিনা ভিডিও বার্তায় আরো বলেছেন, ‘জি৭, জি২০ এবং ওইসিডি (অর্গানাইজেশন ফর ইকোনোমিক কো-অপারেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট) সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে আমদের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য উন্নত দেশ, এমডিবিএস (মাল্টিলেটারেল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকস) এবং আইএফআইএস (ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন) এর উচিত বৃহৎ পরিসরে ও নতুন ‘স্পেশাল ড্রইং রাইটস’-এর মতো বরাদ্দের মাধ্যমে তারল্য বাড়ানো।

উপযুক্ত সংস্কারের জন্য আন্তর্জাতিক ঋণ কাঠামো সংশোধনের প্রয়োজনীয়তার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোকে তাদের ০.৭ শতাংশ ও’ডে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।’ তিনি আরো বলেন যে, ঝুঁকিপূর্ণ অর্থনীতির জন্য তাদের রাজস্ব প্রণোদনা, অর্থনীতিতে বিশেষ সুবিধা ও ঋণ রেয়াত বাড়াতে হবে। এসডিজিএস-এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এলডিসিএস (লিস্ট ডেভেলপমেন্ট কান্ট্রিস) উত্তরোণের জন্য অন্তত ২০৩০ সাল পর্যন্ত নতুন আন্তর্জাতিক সহায়তা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী চলাকালে এই ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কভিড-১৯ মহামারি দেখা দেওয়ার পর এক বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে এবং বিশ্ব এখনো করোনার কারণে যে আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। শেখ হাসিনা বলেন, আগামী দুই বছরে বিশ্ব অর্থনীতিতে আনুমানিক প্রায় ৮.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হতে পারে বলে জাতিসংঘ আশঙ্কা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী কভিড-১৯ মোকাবেলায় তাঁর সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশে আমরা আমাদের জনগণের জীবন ও জীবিকার ওপর থেকে মহামারির বিরূপ প্রভাবে হ্রাস করার সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, ‘আমরা মহামারি শুরু হওয়ার পরপরই ১.২৪ ট্রিলিয়ন টাকা বা ১৪.৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি প্রণোদনা প্যাকেজ শুরু করেছি, যা আমাদের জিডিপি’র প্রায় ৪.৪৪ শতাংশ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, নির্বিঘ্নে ব্যবসা কার্যক্রম নিশ্চিতে তারা বাজারে পর্যাপ্ত তারল্য ও ঋণযোগ্য ফান্ড সরবরাহ করেছেন।

এ ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেট, ফরেন ট্রেড ও ফাইন্যান্স, রেমিটেন্স, বৈদেশিক ঋণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে পরিস্থিতি সহনীয় করতে সহায়ক নীতি গ্রহণ করেছি।’

সরকারের বিচক্ষণ ঋণ পলিসির কারণে চলমান মহামারি সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখনো ভালোভাবে ঋণ পরিশোধে তার ‘ঋণ খেলাপি না হওয়ার’ সুনাম অক্ষুণ্ন রেখেছে।

 

#CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর