বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:১০ অপরাহ্ন

ই-পেপার

বাংলাদেশ -ভারত মৈত্রী সেতু উদ্বোধন

বেলাল হোসাইন,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ৯ মার্চ, ২০২১, ১০:০৯ অপরাহ্ণ

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে খাগড়াছড়ির রামগড়ে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত বাংলাদেশ- ভারত মৈত্রী সেতু-১ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে প্রথম কোনো নদীর ওপর সেতু উদ্বোধন হলো। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন করেন। জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি’র ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথভাবে ভিডিও কনফারেন্সেরর মাধ্যমে আজ মঙ্গলবার (৯ মার্চ) দুপুর ১২টার পর সেতুটি শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। তবে সেতুটি উদ্বোধনকে কেন্দ্রকরে সেতুস্থলে দুই দেশে আনুষ্ঠানিক কোন কর্মসূচি রাখা হয়নি। এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রবিবার রাতে ঘোষণা করে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে 'মৈত্রী সেতু' এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ত্রিপুরার একাধিক পরিকাঠামো প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। তার অংশ হিসেবে আজ দুই প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল মাধ্যমে সেতুটিও উদ্বোধন করেন। খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সল জজানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার মৈত্রী সেতু উদ্বোধন করবেন এমন একটি চিঠি আমরা সোমবার রাতে পাই তবে সেতুস্থলে কোন আনুষ্ঠানিকতার তেমন কোন নির্দেশনা ছিলোনা। রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারী জানান, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ আজ উদ্বোধন হয়েছে। তবে সেতুটি উদ্বোধন হলেও কার্যক্রমে আরো আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে বলে জানান।

 

জানা গেছে, ২৭অক্টোবর ২০১৭ সালে দেশটির ন্যাশনাল হাইওয়েস এন্ড ইনফ্রাষ্টাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) তানিশচন্দ্র আগারভাগ ইনপাকন প্রাইভেট লিমিটেড এর তত্ববধানে ৮২.৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৮৬ একর জমির উপর ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৪.৮০ মিটার প্রস্তের মূল সেতুটির দৈঘ্য ১৫০ মিটার মুলে কাজ শুরু করে যা ৫ জানুয়ারী ২০২১ সালে সেতুটির কাজ শেষ হয়। সেতুটিতে মোট পিলার রয়েছে ১২টি এরমধ্যে বাংলাদেশ অংশে নির্মাণ করা হয়েছে ৮টি ও ভারতের অংশে ৪টি। স্প্যান রয়েছে ১১টি। তন্মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৩৩.৫ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি, ২৭.৫ মিটারের ৪টি ও ৫০ মিটারের একটি। নদীর ওপর ৮০ মিটারের একটি, ভারতের অংশে ৫০ মিটারের একটি ও ২৭.৫ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি স্প্যান রয়েছে। আর্ন্তজাতিক মানের সেতুটি যুক্ত হয়ে রামগড় বারৈইয়ার হাট- চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে অপরদিকে ভারত অংশে নবীনপাড়া ঠাকুরপল্লী হয়ে সাব্রুম আগরতলা জাতীয় সড়কসহ রেলপদ যুক্ত হবে। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি সফরকালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সাথে বৈঠকে রামগড়-সাব্রুম স্থলবন্দর চালুর যৌথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৫ সালের ৬ জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফেনী নদীর ওপর নির্মাণাধীন বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নামে সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করেন।

 

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর