কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ননামিয়া পাড়ায় প্রবাসী ফরিদুল আলমের স্ত্রী আরজিনা আকতারের কাছ চাঁদা না পেয়ে দিন-দুপুরে ডাকাতি, লুটপাট ও হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় তিনজন আহত হয়েছে। এ সময় ২ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ওই ইয়াবা সেবনকারী ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এ বিষয়ে গত ৪ মার্চ প্রবাসী ফরিদুল আলমের স্ত্রী আরজিনা আকতার (২৫) বাদী হয়ে একই এলাকার আছদ আলীর ছেলে শরীফ উদ্দীন ও বেলাল উদ্দীনসহ ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত আসামীরা চিহ্নিত ইয়াবা সেবনকারী, সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারী, চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যু প্রকৃতির লোক হই। বাদি আরজিনা আকতার প্রবাসীর স্ত্রী। তাই দীর্ঘদিন ধরে আরজিনা আকতারের কাছে থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে একই এলাকার আছদ আলীর ছেলে শরীফ উদ্দীন ও বেলাল উদ্দীন, গোলাম হোছনের ছেলে আছদ আলী, ছাবের আহমদের ছেলে মো. বাপ্পি ও রিফাত মিয়াসহ ৪/৫ জন। গত ৪ মার্চ বেলা ১১ টার দিকে শরীফ উদ্দীন ও বেলাল উদ্দীনের নেতৃত্বে ৪/৫ জন সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রবাসীর ঘরে অনধিকার ভাবে প্রবেশ করে স্ত্রী আরজিনা আকতারের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের উপর এলোপাতাড়ি মারধর করে থাকে। হামলায় তিনজন গুরুতর আহত হয়। আহতরা বাদিনী প্রবাসীর স্ত্রী আরজিনা আক্তার, ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী তাসনিম বিনতে ফরিদ ও চৌকিদার শহিদুল আলম।
পরে স্থানীয়রা আহতের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের ভর্তি দেন। আহত আরজিনা আকতার বলেন, উপরোক্ত আসামীরা অত্যন্ত খারাপ প্রকৃতির লোক। আমার স্বামী ফরিদুল আলম বিদেশ থাকে। সে সুবাধে আমার দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে তারা রীতিমত আমার কাছ থেকে চাঁদা দাবী করতো। আমি ভয়ে বেশ কয়েকবার তাদের চাঁদা দিয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ মার্চ আমার বাড়িতে প্রবেশ করে আমার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে উপরোক্ত সন্ত্রাসীরা। ওই ৫০ হাজার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাদের উপর এলোপাতাড়ি মারধর করে। হামলায় আমিসহ তিনজন আহত হয়েছি। এজাহারে উল্লেখিত পাঁচজন ছাড়া ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে একই এলাকার মকতুল হোছনের ছেলে নুর আমিন, সুর আলীর হামিদ উল্লাহ ও মৃত বজল করিমের ছেলে ছাবের আহমদ।
CBALO/আপন ইসলাম