বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

নীলফামারীতে সরকারী বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ    

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: রবিবার, ৩১ মে, ২০২০, ৭:৫৭ অপরাহ্ণ

হিমেল চন্দ্র রায়,নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
সরকারের দেওয়া জিআর বরাদ্দের জনপ্রতি ১০ কেজি চালসহ ৬০ টাকা মুল্যের  বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য দেয়ার কথা থাকলেও ১০ কেজি চালের সাথে ২ কেজি আলু এবং “পাবলিক সল্ট” নামের আধা কেজি ওজনের মানহীন লবণের প্যাকেট দেয়ায় সরকারী টাকা আত্মসাৎ করেছে টুপামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মছিরত আলী শাহ্ ফকির বলে অভিযোগ উঠেছে৷
রোববার সকালে সরেজমিনে ওই এলাকায় গেলে ২ কেজি আলু আর আধা কেজি পাবলিক সল্ট নামীয় মানহীন লবন এর মুল্য ৬০ টাকা না হওয়ায় সরকারী টাকা আত্মসাৎ করেছে  ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের দেখে এমন অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ড এর বাসিন্দারা৷
বিষয়টি নিয়ে টুপামারী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সামছুদ্দোহা জানায়, “শনিবার (২৩ মে) ইউনিয়ন পরিষদে জিআর বরাদ্দের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। চেয়ারম্যান উপজেলা থেকে জিআর বরাদ্দের চাল সহ নগদ ২৪ হাজার টাকা উত্তোলন করে। চেয়ারম্যান উপজেলা থেকে ২৪ হাজার টাকা উত্তোলণ করে কিন্তু আমরা ইউপি সদস্যরা এর কিছুই জানেননা৷ সস্তা আর মানহীন জিনিস কিনে সরকারকে ঠকাতে এবং হতদরিদ্রদের হক খেয়ানত করায় আমরা কেউ মাস্টার রোল সীটে স্বাক্ষর করি নাই। তিনি নিজেই ২৪ হাজার টাকায় ১৮ টাকা কেজি দড়ে ২ কেজি আলু ক্রয় করে এবং ফ্রেশ লবণ ক্রয় না করে পাবলিক সল্ট লবণ ক্রয় করে,যার মুল্য ৮.৭৫ টাকা। এতে জন প্রতি ৬০ টাকায় খরচ হয় ৪৪.৭৫ টাকা অতএব ৪০০ পরিবারের থেকে আনুমানিক ৬ হাজার ৩ শত টাকা আ্ত্নসাৎ করেন ইউপি চেয়ারম্যান মছিরত আলী শাহ ফকির৷  আমরা সরকারের কাছে চেয়ারম্যানের টাকা আ্ত্নসাৎ করার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে টুপামারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মছিরত আলী শাহ্ ফকিরের সাথে কথা হলে, তিনি সাংবাদিকদের  জানান, “আমি সরকারের দেওয়া জিআর বরাদ্দের ৪ টন চালসহ ২৪ হাজার টাকা উপজেলা থেকে উত্তোলন করেছি আর কিছু বলতে পারবোনা বলেই বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান”৷


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর