শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

তাড়াশে ৩ শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী দইমেলা

মোঃ মুন্না হোসাইন,ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৬:৪৭ অপরাহ্ণ

তাড়াশের প্রায় তিন শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী দইয়ের মেলায় এ বছর রেকর্ড পরিমাণ বিক্রি হয়েছে। দইসহ বিভিন্ন ধরনের রসালো ও শুকনা মিষ্টিজাতীয় খাবার এই মেলার প্রধান আকর্ষণ। এই দইমেলা নিয়ে নানা গল্প-কাহিনী রয়েছে। তাড়াশ উপজেলার তপন কুমার গোস্বামী জানান, তৎকালীন জমিদার বনোয়ারী লাল রায় বাহাদুর প্রথম দইমেলার প্রচলন করেছিলেন। তবে জমিদার আমল থেকে শুরু হওয়া তাড়াশের দইয়ের মেলা মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতে উৎসব আমেজে বসার বার্ষিক রেওয়াজ এখনও বিরাজমান। জনশ্রুতি আছে, জমিদার রায় বাহাদুর দই ও মিষ্টান্ন খুব পছন্দ করতেন। এ ছাড়া জমিদার বাড়িতে আসা অতিথিদের আপ্যায়নে এ অঞ্চলে ঘোষদের তৈরি দই পরিবেশন করা হতো। আর সে থেকেই জমিদার বাড়ির সম্মুখে রসিক লাল রায় মন্দিরের পাশের মাঠে হিন্দুধর্মের সরস্বতী পূজা উপলক্ষে দইমেলা বসত।

 

প্রতিবছর মাঘ মাসে শ্রী পঞ্চমী তিথিতে দইমেলায় বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর থেকে ঘোষেরা দই এনে মেলায় পসরা বসিয়ে কেনাবেচা করতেন। কথিত আছে সবচেয়ে ভালো সুস্বাদু দই তৈরিকারক ঘোষকে জমিদারের পক্ষ থেকে উপঢৌকন প্রদান করারও রেওয়াজ ছিল। দইয়ের মেলায় আসা এ অঞ্চলের দইয়ের স্বাদের কারণে নামেরও ভিন্নতা রয়েছে। ক্ষীরসা দই, শাহী দই, শেরপুরের দই, বগুড়ার দই, টক দই, ডায়বেটিস দইসহ এ রকম হরেক নামের-দামের দই বিক্রি হয়। বিশেষ করে বগুড়ার শেরপুর, সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা, শ্রীপুর ও তাড়াশের তৈরি দই ক্রেতারা বেশি পছন্দ করেন।

 

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর