পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় দোকার ঘরের আড়ালে ও রাস্তার পাশে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতেছে মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেম খেলা নিয়ে চরম ব্যস্ত হয়ে পরেছে শিক্ষার্থীরা। মহামারি করোনা ভাইরাসে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগ সময় কাটছে ঘর ও বইয়ের পাতার বাইরে।
সরজমিনের ঘুরে দেখা যায়, দিনদিন ইন্টারনেন্ট ব্যবহৃত ফ্রি ফায়ার গেমে ঝুকে পড়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। শুধু শহরে নয়ন গ্রামের শিশু শিক্ষার্থীরাও ফ্রি ফায়ার নামক গেমে নেশায় জড়িয়ে পড়েছে। ফ্রি ফায়ার খেলোয়ার আরমান হোসেন, মোক্তার হোসেন, আবুল কালাম সহ অনেকেই জানান, ফ্রি ফায়ার গেম আগে তেমন একটা ভাল লাগতো না। বর্তমানে একদিন যদি এই গেম না খেলি তাহলে মাথায় কোনো কাজ করে না। এপর্য়ন্ত আমি অনেক লেভেল পার করেছি। এবং খেলায় আমার অনেক অর্থ ব্যয় হয়।
অষ্টম শ্রেনীর আলী আজগর সুমন জানান, আগে ফ্রি ফায়ার গেমস সম্পর্কে আমি কিছু জানতাম না। এখন আমি নিয়মিত এই গেম খেলা করি এবং মাঝে মাঝে গেম খেলতে না পারলে মুঠো ফোন ভেঙ্গে ফেলার ইচ্ছা হয়। ফ্রি ফায়ার গেম যে একবার বুঝবে সে আর ছাড়তে পারবে না বলে এমটাই দাবি তার।
নাম প্রকাশ্যে অরিচ্ছুক এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জানান, এসময় শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত থাকবে লেখাপড়া সহ শিক্ষা পরিক্রম গ্রহন নিয়ে খেলার মাঠে। সেখানে তারা ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি গেম থেকে শিক্ষার্থী বা তরুন প্রজন্মকে ফিরিয়ে আনতে হবে। এবিষয়ে পরিবারের সকল অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের প্রতি নজর দিতে হবে। তবে এবিষয়ে সচেতন মহল বলছে, বর্তমানে এ ফ্রি ফায়ার নামক গেমটাতে খুব বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। অনেকেই এর পেছনে অর্থ ব্যয় করছেন। অভিভাবকসহ সমাজের সবাই মিলে এবিষয়ে তদারকি না করলে ভবিষৎতে ফ্রি ফায়ার নামক গেম মাদক নেশার চেয়ে ভয়ংকার হতে পারে বলে মনে করছেন তারা। তাই সবাইকে সবার স্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে।
CBALO/আপন ইসলাম