চৌহালী(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার রেহাই পুখুরিয়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এনামুল নামে এক যুবককে বেধরক মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আশঙ্কা জনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চৌহালী উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে নাগরপুর উপজেলা হাসপাতালে রেফার্ড করে। এ ঘটনায় ওই যুবকের নাকে ও মাথায় বেশ কয়েকটি শেলাই দেয়া হয়েছে তবে, অধিক রক্তক্ষরণ ও যখম হওয়ায় অবস্থা আশঙ্কা জনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ।
হামলার শিকার যুবকের নাম মোঃ এনামুল হক, পিতাঃ মোঃ আঃ হামিদ মোল্লা, গ্রামঃ রেহাই পুখুরিয়া বলে জানা গেছে। চৌহালী থানায় মামলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সারে ৩টার দিকে পুর্ব শত্রুতার জেরে রেহাই পুখুরিয়া গ্রামের লোকমান দেওয়ানের ছেলে মতিয়ার রহমান মতির নেতৃত্বে কয়েক জন যুবক কথা আছে বলে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বাড়ীর পাশে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এতে এনামুল হক প্রতিবাদ করলে ক্ষুদ্ব হয়ে মতি তার সংঙ্গে থাকা লোকদের কে এনামুলকে জানে মেরে ফেলার নির্দেশ দেন।
নির্দেশ পেয়ে উজ্জল সরকার, সাইদুল দেওয়ান, শহিদুল দেওয়ান, সোহেল ফকির অতর্কিত হামলা চালায় এতে এনামুলের নাক ও মাথা ফেটে যায়। তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশি ও পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে তাকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় এনামুলকে উদ্ধার করে চৌহালী উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে নাগরপুর উপজেলা হাসপাতালে রেফার্ড করে। বর্তমানে নাগরপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তার নাকে ও মাথায় বেশ কয়েকটি শেলাই দেয়া হয়েছে।
তার অবস্থা আশঙ্কা জনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এব্যপারে ভিকটিমের পরিবার অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন। এ বিষয়ে চৌহালী থানা অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে অতি দ্রুত ব্যাবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য: বেশ কয়েক দিন ধরেই বংশগত আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রেহাই পুখুরিয়া এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় এলাকার সচেতন মহল ও থানা থেকে কোন রকম ঝামেলায় না জড়াতে সকল পক্ষকে বার বার অনুরোধ করার পরেও এমন ঘটনা এলাকায় নিন্দার ঝড় তুলেছে।