বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য: ‘নেই প্রচারণা’, দায় শুধুই নারীর?

অনলাইন ডেস্ক:
আপডেট সময়: বুধবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২১, ৯:০৩ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে যৌন ও প্রজনন ইস্যুটি এতটাই স্পর্শকাতর যে এ সম্পর্কে আলোচনা করাকে এখনও লজ্জার বিষয় হিসেবে দেখা হয়

প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম; স্বাস্থ্য সেবায় এই মূলনীতিটি বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে দীর্ঘকাল ধরেই চেষ্টা করছেন জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সেক্টরের কর্মীরা। স্বাস্থ্য সেবার মৌলিক দিকগুলো পূরণের পাশাপাশি তাই রোগ প্রতিরোধও এখন অধিকারের পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। আলোচনায় আনা হয় না এমনই এক অধিকারের নাম যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অধিকার।

প্রজনন স্বাস্থ্য পুরুষ-নারী সকলের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে যৌন ও প্রজনন ইস্যুটি এতটাই স্পর্শকাতর যে এ সম্পর্কে আলোচনা করাকে এখনও লজ্জার বিষয় হিসেবে দেখা হয়।

প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণার অভাবে নারী-পুরুষ উভয়ের সু্স্থভাবে বেড়ে ওঠা, বয়ঃসন্ধিকালের যত্ন, সন্তান জন্মদানের জন্য গর্ভধারণ, পরিবার পরিকল্পনা ও পদ্ধতি নির্বাচন, স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্কসহ নানা বিষয়ে জানা, আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভুল করা হয়। যার ভার বহন করতে দীর্ঘ রোগ, যন্ত্রণা, আর্থিক ও মানসিক অনটনে ভুগে, এমনকি জীবন দিয়ে; এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঘটনার শিকার হয় নারী।

কথা বলতে চান না কেউ, ভুল ধারণার ছড়াছড়ি

কথা হচ্ছিল আব্দুর রশিদ নামে একজন সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে। প্রজনন স্বাস্থ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি যেন আড়ষ্ট হয়ে যান। কিছু লজ্জা নিয়ে শুধু বলেন, “ওই যে মেয়েদের মাসিক হয়, বাচ্চা হয় এসব।”

ব্যাংক কর্মকর্তা রশিদের মত আরও কয়েকজন শিক্ষিত ও বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, প্রজনন স্বাস্থ্য বলতে তারা কেবল মাসিক বা মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্যকেই বোঝেন!

যদিও এ বিষয়ে কোনো গবেষণার খবর পাওয়া যায় না। তবে অন্তত ধারণা করা যায়, প্রজনন স্বাস্থ্যকে পুরুষেরা কেবল নারীদের বিশেষ সময়ের স্বাস্থ্যগত অবস্থাকেই বোঝেন।

যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য আসলে কী, এটি কী শুধু নারীদের বিষয়?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, “প্রজনন স্বাস্থ্য শুধুমাত্র প্রজননতন্ত্রের কার্য ও প্রজনন প্রক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত রোগ বা অসুস্থতার অনুপস্থিতিকেই বোঝায় না, এটা শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক কল্যাণকর এক পরিপূর্ণ সুস্থ অবস্থার মধ্য দিয়ে প্রজনন প্রক্রিয়া সম্পাদনের একটি অবস্থাকে বোঝায়।”

প্রজনন স্বাস্থ্যের ধারণা শুধুমাত্র মাতৃস্বাস্থ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। প্রজনন স্বাস্থ্যের পরিচর্যা যে কোনো বয়সের নারী ও পুরুষের জন্য প্রযোজ্য। প্রজনন স্বাস্থ্য়ের যত্ন গর্ভবতী মায়েদের চাহিদা পূরণ করলেও যারা গর্ভধারণ করতে চায় বা চায় না তারাও এর আওতাভুক্ত। যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে “Collective initiatives to improve Menstrual Health (MH) situation in Bangladesh by engaging NGOs, civil society and private sector” নামে একটি প্রকল্প পরিচালনা করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা “নারী প্রগতি সংঘ”।

প্রকল্পটির পরিচালক নাসরিন বেগম বলেন, “প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী মনে করা হয় নারীদের গর্ভকালীন, প্রসবকালীন এবং প্রসব পরবর্তী যত্ন নেওয়াই প্রজনন স্বাস্থ্য সেবার আওতাভুক্ত। কিন্তু একটি শিশুর জন্ম থেকে শুরু করে শৈশব, কৈশোর, যৌবন ও প্রৌঢ়ত্ব প্রতিটি স্তরেই প্রজনন স্বাস্থ্যের বিষয়টি জড়িত। অর্থাৎ, শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সের সকল নারী-পুরুষই প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার আওতায় পড়ে। যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য শুধু নারীর বিষয় নয়, বরং নারী-পুরুষ উভয়েরই একটি কল্যাণকর স্বাস্থ্য সেবা।”

বস্তুত যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার হল মানবাধিকার। ২০১৬-২০৩০ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়টি অধিকার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

সহযোগিতা নয়, দায় সারেন পুরুষেরা

যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় বিষয়টিকে শুধু নারীদের মনে করে বেশিরভাগ পুরুষ এতে দৃষ্টিপাত করেন না। সমাজ-সংস্কৃতি বিশেষজ্ঞদের মতে, সামাজিক কুসংস্কার, পরিবার থেকে প্রয়োজনীয় জ্ঞান না পাওয়া, ধর্মীয় গোঁড়ামি, শক্তিশালী পুরুষতান্ত্রিক চর্চা ইত্যাদি কারণে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে ব্যাপক অসচেতনতা রয়েছে।

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আইনুন নাহার বলেন, “ক্ষমতার চর্চা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা, সহিংসতা ইত্যাদি পুরুষতান্ত্রিকতাকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে। ফলে যাবতীয় নেতিবাচক সবকিছু নারীর উপরে এসেই পড়ছে। যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও একান্ত নারীর বিষয় বলে পুরুষের অংশগ্রহণকে সীমিত করা, যা কেবলই দায়সারা। এতে বিরাট একটি শ্রেণি যেমন আধুনিক বিজ্ঞান চর্চার সুবিধা নিতে পারছে না, তেমনই নারীর উপর বাড়তি চাপ পড়ছে যা প্রকান্তরে নির্যাতন; অন্যদিকে, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যশিক্ষার অভাবে নারীর প্রতি বিরূপ দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হচ্ছে, যার প্রমাণ পাওয়া যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহারসহ বাস্তব জীবনের বিভিন্ন ঘটনায়।”

প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে না জানার ফলে কী সমস্যা হচ্ছে?

টাঙ্গাইলের বাসাইলে সংযুক্ত আরব আমিরাত ফেরত ৩৪ বছর বয়সী প্রবাসীর সাথে বিয়ে হয় ১৪ বছর বয়সী নুর নাহারের। কিন্তু অপ্রাপ্তবয়সে বিয়ে ও শারীরিক সম্পর্কের কারণে নুর নাহারের গোপনাঙ্গ দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত বিয়ের মাত্র ৩৪ দিনের মাথায় তার মৃত্যু হয়।

যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অভাবে নুর নাহারের মত অনেকেরই অকালে প্রাণ ঝরে যায়, কেউ আবার আজীবন সঙ্গী করে রাখে মারাত্মক সংক্রামক রোগ।

এ বিষয়ে দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহকারি পরিচালক ডা. কল্লোল চৌধুরী বলেন, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে বিজ্ঞানভিক্তিক শিক্ষার অভাবে বাল্যবিয়ে, কম বয়সে গর্ভধারণ, গর্ভপাত, অনিরাপদ মাতৃত্ব, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু, যৌনবাহিত রোগ ইত্যাদি ঘটছে অহরহ। তাই বিয়ে, মাসিক, কম বয়সে যৌনতার ক্ষতিকর দিক, শারীরিক পরিবর্তন, অনিরাপদ যৌন মিলন, যৌন নির্যাতন ইত্যাদি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা প্রত্যেকের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।

শুধু উপরোক্ত বিষয় নয়, বরং নারী-পুরুষ এমনকি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরও আজীবন সুস্থ থাকার পাশাপাশি মনো-সামাজিক উন্নয়নের জন্য যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানা প্রয়োজন বলে মনে করেন এই চিকিৎসক।

কাগজে-কলমেই সরকারি প্রচার-প্রচারণা

সুস্থ্য জাতি গঠনে একটি শিশুর জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যগত প্রতিটি পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নানা কারণে বাংলাদেশে শুধু পরিবার পরিকল্পনা ও সংক্রামক রোগের মত যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য গুরুত্ব পায়নি। তাছাড়া এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণার অভাব রয়েছে। সীমিত আকারে যতটুকু রয়েছে, সেখানেও পুরুষের অংশগ্রহণের বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি। ফলে পরিবারের পুরুষ এটিকে নারীদের বিষয় মনে করে প্রজনন স্বাস্থ্যের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সম্পূর্ণ বাইরে থাকছেন। যা প্রজনন স্বাস্থ্যগত লক্ষ্য ও অধিকার অর্জনে অন্যতম বাধা হিসেবে কাজ করছে।

যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক সেবা দেওয়ার কার্যক্রম গুরুত্বের সঙ্গেই চলছে মন্তব্য করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএন-সিএএইচ লাইন ডিরেক্টর মো. শামসুল হক বলেন, “এনজিও যারা এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছে, তারা তাদের জায়গা থেকে কথা বলছে। এটি অবশ্যই ইতিবাচক শক্তি হিসেবে কাজ করছে। কিন্তু সরকারকে সব জনগোষ্ঠীর কথা ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা ভাবতে হয়। সরকার যখন কোনো স্পর্শকাতর কর্মসূচি হাতে নেয় তখন সেটি নির্দিষ্ট মেয়াদে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করে। আমাদের সমাজ খুবই স্পর্শকাতর, এসব বিষয় নিয়ে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক চাপ রয়েছে। তাই সফট লেভেল থেকে ধীরে ধীরে হার্ড লেভেলে যাওয়ার কৌশল নেওয়া হয়েছে।”

তিনি জানান, নতুন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় যুববান্ধব কর্মসূচিতে আরও জোর দেওয়া হয়েছে। তাই যুববান্ধব অন্যান্য কর্মসূচির পাশাপাশি যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মসূচি আরও বেগবান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

করণীয় কী, যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

স্পর্শকাতর অথচ অতি প্রয়োজনীয় বিষয়টি কিভাবে সমাজে গ্রহণযোগ্য করে তোলা যায় তা নিয়ে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানামুখী প্রচেষ্টা চলছে। তবে স্পর্শকাতরতার অজুহাত ‍তুলে সরকারি উদ্যোগ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক পিছিয়ে বলে মনে করছেন এনজিও কর্মীরা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের উপপরিচালক শাহনাজ সুমী বলেন, “আধুনিক বাংলাদেশ বির্নিমাণে দেশের ৩৪% যুবদের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতে হবে। আমরা যেমন ভুল তথ্য নিয়ে বড় হয়েছি, তারা যেন তেমন অজ্ঞতার শিকার না হয়। একটি পরিবর্তন করতে গেলে কোনো না কোনো গোষ্ঠীর চাপের মুখে পড়তে হয়। কারণ তার সুবিধাভোগী রয়েছে। এটা ঠিক যে, সরকারকে সবাইকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করতে হবে। তাই বলে সাংবিধানিক অধিকারকে তো অস্বীকার করা যায় না।”

নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “কোনো একটি গোষ্ঠীর চাপ কী যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, এটা কী রাষ্ট্রের জন্য মঙ্গলজনক? যিনি করতে চান, তিনি করতে পারেন। প্রয়োজন মানসিকতার পরিবর্তন, দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। আসলে আমাদের প্রয়োজন সদিচ্ছার।”

সিমাভি বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাহবুবা হক কুমকুম ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয়- প্রজনন অঙ্গ ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সুস্থ্য ও সঠিক ধারণা থাকলে সেটি কিশোর-কিশোরীর পরবর্তী মানসিক গঠনে সাহায্য করে। তবে বাংলাদেশের সমাজে যুগ যুগ ধরে চলা সামাজিক জড়তার কারণেই প্রজন্মের পর প্রজন্ম যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিজ্ঞানসম্মত কোনো জ্ঞান ছাড়াই পার করছেন। তার ফলাফলও আমরা প্রত্যক্ষ করছি; জেন্ডারভিত্তিক বৈষম্য ও সহিংসতা, যৌন নির্যাতন, যৌনরোগ, বাল্যবিয়ে, অপরিকল্পিত গর্ভধারণ, গর্ভপাত, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু ইত্যাদি সবই সমাজে বিরাজমান কেবল যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক বিজ্ঞানভিক্তিক জ্ঞানের অভাবে। মাত্র একটি ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তন যদি এত এত নেতিবাচক বিষয় থেকে আমাদেরকে দূরে রাখে, তবে আমরা সেই চেষ্টা কেন করব না? আসলে এক্ষেত্রে কোনো যুক্তিই খাটে না।”

জন্ম নিয়ন্ত্রণ ও এইডস বিষয়ক কর্মসূচিও খুব স্পর্শ কাতর ছিল মন্তব্য করে মাহবুবা হক কুমকুম বলেন, “স্পর্শকাতরতার কথা বলে যদি বিদ্যমান ট্যাবু সংস্কারে পিছিয়ে যাওয়া হয়, সেটি মানুষ হিসেবে তাদের অধিকারকেই অস্বীকার করার নামান্তর। বরং বেশি বেশি প্রচারণার মাধ্যমে এসব বিষয় বার বার সামনে আনতে হবে, যাতে স্পর্শ কাতরতা কমে যায়, যেমনটি করা হয়েছিল জন্ম নিয়ন্ত্রণ ও এইডস বিষয়ক কর্মসূচির ক্ষেত্রে। তাহলেই মানুষ বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করবে।”

 

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর