শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০৮ অপরাহ্ন

ই-পেপার

ভাঙ্গুড়ায় কলেজ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রফাদফায় ব্যাস্ত চেয়ারম্যান ও মেম্বর

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২১, ৮:২৫ অপরাহ্ণ

ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি:

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় কলেজ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে সাবেক সেনাসদস্য মোঃসোহেল হোসেন(জগলু) আলী(৪৪) এর বিরুদ্ধে। রফাদফা করে ধামাচাপা দেওয়ায় ব্যাস্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আফছার মাষ্টার ও মেম্বর সাগর আলী। সে মন্ডতোষ গ্রামের হাজ্বী মোহাম্মদ আলী(মজনুর)পুত্র। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মন্ডতোষ গ্রামে। জানা যায় (১৮) জানুয়ারি সোমবার রাত ৮ টার দিকে মুদির দোকানে মায়ের জন্য পান কিনে ফেরার পথে কলেজ ছাত্রীকে প্রতিবেশী সেনা সদস্য লম্পট জগলু কুপ্রস্তাব দেয় প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মুখ চেপে ধরে জোর করে বাগানে নিয়ে যায়। এসময় চিৎকার দিলে এলাকা বাসির উপস্থিতি টের পেয়ে লম্পট সেনা সদস্য পালিয়ে যায়। পরে ছাত্রী এলাকা বাসি ও পরিবারের লোকজনের কাছে বিষয়টি খুলে বলেন। বিষয়টি এলাকার ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

 

মঙ্গলবার সকালে ছাত্রীর বড় দুভাই লম্পট সোহেল(জগলুর) কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে জগলু তাদের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। আরো বলেন এবিষয় নিয়ে থানায় গেলে তোদের এলাকায় থাকতে দেবনা। গরিব অসহায় কলেজ ছাত্রীর পরিবার সকল বাধা উপেক্ষা করে মঙ্গলবার সন্ধায় থানায় গেলে সোহেল(জগলু) প্রভাবশালী ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের আত্বীয় হওয়ায় এলাকার কিছু প্রধানকে ম্যানেজ করে ছাত্রীর পরিবারকে থানার সামনে থেকে বিবিন্ন ভয়ভিতি দেখিয়ে ফিরিয়ে আনে। পরের দিন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আফছার মাষ্টারের নেতৃত্বে ইউপি সদস্য মোঃ সাগর আলীর আহবানে ও ওহাব আলীর সভাপতিত্বে বুধবার রাত ৮ টারদিকে মন্ডতোষ সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয় মাঠে সালিশের আয়েজন করেন। শালিসে অভিযুক্ত সোহেল ও তার পরিবা কেউ উপস্থিত হয়নি।

 

চেয়ারম্যানের আত্বীয় ও কিছু অসাধু গ্রাম প্রধান ম্যানেজ হওয়ায় এবিষয়ে তেমন কোন পদক্ষেপ নেন নাই প্রধানরা। বুধবার রাত ৮ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায় স্কুল মাঠে শালিষের আয়েজন করেছে ইউপি চেয়ারম্যান। সেখানে প্রায় ৫শতাধিক মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। শালিষে গ্রাম প্রধান হিসাবে উপস্থিত দেখাযায়,মোঃ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আফছার মাষ্টার,মেম্বর সাগর আলী,ওহাব আলী,আব্দুল গফুর,ময়নুল,মমিন ও পারুল প্রামানিকসহ অনেক প্রধানকেই দেখা যায়। ছাত্রীর বড় ভাই মোঃ ওহাব আলী বলেন,থানায় মামলা করার জন্য গিয়েছিলাম কিন্তু চেয়ারম্যানের ভাই আব্দুল গফুর ও ময়নুল গ্রামে বসে আপোষ করেদিবে বলে থানার গেট থেকে আমাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসে। কিন্তু আমার সাথে তারা সাপ লুডু খেলবে তা আমি কখনো ভাবিনি। এ বিষয়ে মন্ডতোষ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আফছার মাস্টার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ,আমি কোন বক্ত্যব দিবো না। মেম্বর মোঃ সাগর আলীর আহবানে ও ওহাব আলীর সভাপতিত্বে এই শালিষে আমি ছিলাম। আপনারা তাদের সাথে কথা বলেন। মেম্বর সাগর আলী বলেন, সকালে গ্রাম পুলিশের মাধ্যামে ৭নং ওয়ার্ডের সকল ব্যাত্তি বর্গকে আহবান করেছি। কিন্তু বিবাদি জগলু উপস্থি হয় নাই সে পালাতক রয়েছে।

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, কলেজ ছাত্রীর পরিবার থানায় এসেছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।

 

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর