সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা তাঁতসমৃদ্ধ অঞ্চল। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে একাধিকবার। দলীয় কোন্দল, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, প্রভাব বিস্তার এখানকার নিত্য নৈমিত্ত বিষয়।
একটা সময় বেলকুচিতে বিএনপি জামাতের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিলো। গত দেড় যুগে প্রেক্ষাপট পাল্টেছে আওয়ামীলীগ শক্ত অবস্থান দাঁড় করাতে স¶ম হয়েছে। ২০০৮ এর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ¶মতায় আসার পর বেলকুচি উপজেলা পরিষদে ছিলো জামাত সমর্থিত চেয়ারম্যান।
স¤প্রতি বেলকুচিতে আওয়ামী রাজনীতি নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা ও বিভাজন। বিভিন্ন গ্রুপিং, অভ্যন্তরীণ কোন্দল এর প্রভাব পরেছে স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে। টানা ২ টা স্থানীয় নির্বাচনে হয়েছে ¶মতাসীন আওয়ামীলীগের হয়েছে পতন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে জয় তুলে নেয় বিদ্রোহী প্রার্থী। সর্বশেষ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের আশানুর বিশ্বাসকে ৫৬০৩ ভোটে হারিয়ে দেয় বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহব্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা। এতে করে বেলকুচির আওয়ামী রাজনীতি নিয়ে সচেতন মহলে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
কথিত আছে বেলকুচির রাজনীতি ২ ভাগে বিভক্ত। বর্তমান সাংসদ আব্দুল মমিন মন্ডল ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস একে অপরের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার কারণে দলে মেরুকরণ হয়েছে। দীর্ঘদিন হয়না বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিল। যার ফলে অনেকটা নেতৃত্ব শ‚ন্য উপজেলা আওয়ামীলীগ। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও পৌরসভা নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে না পেরে হতাশ তৃনম‚ল আওয়ামীলীগ কর্মীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের একাধিক নেতাকর্মীর দাবি, বেলকুচিতে আওয়ামীলীগে ঐক্যতা বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অভাব রয়েছে এবং দুইটা গ্রুপ বিরাজমান। যার প্রভাব পড়েছে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবং স¤প্রতি পৌরসভা নির্বাচনে । কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ ও বেলকুচির তৃণম‚ল রাজনীতির সাথে রয়েছে সমন্বয়হীনতা। এমতাবস্থায় বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করতে কাউন্সিল করে নতুন নেতৃত্ব এবং কেন্দ্রীয় কমিটির হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ জানান, বেলকুচিতে যারা মনে প্রাণে আওয়ামীলীগ লালন করে না, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মানে না তারাই বরাবর নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়। তাদের রাজনীতির পথচলা জামাত ও অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে। এই শেণীর লোকের কাছে দলের চেয়ে ব্যাক্তিগত স্বার্থই মুখ্য। ত্যাগী,আস্থাশীল, দলের প্রতি অনুগত কর্মীদের ম‚ল্যায়ন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সবসময় করে। আগামীদিনে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ধভাবে দলকে আরো সুসংগঠিত করবে ।
CBALO/আপন ইসলাম