বিষয়টি সম্পর্কে ফেসবুকের গ্লোবাল সেফটি পলিসির পরিচালক করুনা নেইন বলেন, ‘এই বছর মহামারি মানুষকে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপনের পাশাপাশি নানাবিধ ক্ষতির সম্মুখীন হতে বাধ্য করেছে। আমরা তাদের জানাতে চাই যে তারা একা নয়, আমরা তাদের আশপাশের এমন প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে চাই, যারা তাদের কথা শুনবে এবং সহযোগিতা করতে পারবে।’ ফেসবুক মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার সমাধান করতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন রকম ফিচার তৈরি করছে। ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডসে আত্মহত্যা ও আত্মঘাতী কনটেন্ট প্রতিরোধী নীতিমালা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাদের কাজকে আরো কার্যকর করতে ফেসবুক এবার সূচনা ফাউন্ডেশন ও মনের বন্ধুর মতো স্থানীয় অলাভজনক সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছে। সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও ডাব্লিউএইচওর মানসিক স্বাস্থ্য এবং অটিজমবিষয়ক ডিরেক্টর জেনারেলের উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদ বলেন, ‘মানসিক অবসাদ মোকাবেলায় সবচেয়ে ভালো উপায়গুলোর একটি হলো পরিবার ও বন্ধুদের সংস্পর্শে থাকা। বাংলাদেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ফেসবুকের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এ বিষয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সহজে যোগাযোগ করতে পারা মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।
’ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘সমাজে মানসিক সমস্যা বাড়ছে; কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সীমিত। মানসিক সমস্যা সম্পর্কে অজ্ঞতা ও ভুল ধারণা সমস্যাটিকে আরো প্রকট করে তুলছে। সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যম মানসিক সমস্যা সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে এ সমস্যা মোকাবেলায় সহায়তা করতে পারে। সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুককে এই ব্যাপারে ভূমিকা রাখার জন্য আমি স্বাগত জানাই।’ জানা যায়, বিশ্বব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে এ রকম সংস্থাগুলোর সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ স্থাপন করতে ফেসবুক বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মহামারির যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে সবাইকে সহযোগিতা করাই এ উদ্যোগের লক্ষ্য। নিজের ক্ষতিসাধনমূলক ছবি যেন কেউ পোস্ট করতে না পারে, সে বিষয়ে ফেসবুক গত বছর কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। কারণ এ ধরনের ছবি অন্যকে মনের অজান্তেই আত্মঘাতী আচরণ করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সাধারণ মানুষকে আরো সহজে যোগাযোগ করিয়ে দিতে কাজ করছে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ফেসবুক তাদের সেফটি সেন্টার ভিজিট করতে বলেছে।