কে,এম আল আমিন :
উত্তর বঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত সিরাজগন্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল রোড গোল চত্বর। ঢাকা বা দেশের অন্য কোথাও হতে উত্তরবঙ্গের ১৭ জেলা বা দক্ষিনান্চলের কয়েকটি জেলার লোকজনের যাতায়াতের একমাত্র পথ হাটিকুমরুল রোড। প্রতি বছর দু’টি ঈদের কয়েকদিন আগে বা পরে যাত্রীদের চলাচল আর যানবাহনের চাপে যেখানে তিল ধারনের ঠাই ছিল না। হাটিকুমরুল হতে চারদিকে ২০/২৫ কিলো মিটার যানজট লেগেই থাকত। দেখে মনে হচ্ছে জনশুন্য হাটিকুমরুল রোড।
গাড়ির সাথে গাড়ি লেগে থাকায় যেখানে যাত্রী সাধারন নাভি:শ্বাস হয়ে উঠত। এবারে প্রাণঘাতী করোনা প্রতিরোধ আর সরকারী নিষেধাজ্ঞার কারনে ঢাকা থেকে নাড়ীর টানে আপনজনদের নিয়ে ঈদ আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। তাই ২৫ মে ঈদের আগে বা পরে হাটিকুমরুল রোডে আজ নেই কোন ঈদের আমেজ। নেই অন্যান্য বছরের মত বাসে ওঠার হুড়োহুড়ি । হোটেল,চা স্টল বা দোকান পাটে নেই মানুষের কোলাহল। সেই সাথে নেই ফুটপাতে ঠেলাঠেলি করে হাঁটার মত চরম ভোগান্তি। দুর পাল্লার নেই কোন গণ পরিবহন।
দেখা যাচ্ছে দু’ চারটি ব্যক্তিগত গাড়ি কার বা মাইক্রো। জরুরী দরকারে পথিকেরা ভাড়াটিয়া কিছু মোটর সাইকেলে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে চলতে দেখা গেছে ঈদের পরে। পায়ে হেঁটে বা পার্শ্বরাস্তা দিয়ে কেবল রিকশাতেই এদিক ওদিক বেড়াচ্ছেন পথিকেরা। আবার কোলাহল মুক্ত হাটিকুমরুল রোড হওয়ায় কিছু মানুষ স্বস্থিবোধ করলেও রোডের ব্যবসায়ীরা বলছেন,কয়েক দিনের এই ফাঁকা হাটিকুমরুল রোড একটু অস্বস্থিও বটে। তবে সাধারন মানুষ বলেছেন, এই মহামারী করোনা চলে গেলে হাটিকুমরুল রোড আগামী ঈদে ফিরে পাবে আবার ঈদের আমেজ।