রুবিনা আজাদ আঞ্চলিক (বরিশাল) প্রতিনিধি:
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শিক্ষা অফিসারের উদাসীনতায় নতুন বছরের প্রথম দিনে বই উৎসবে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হবে নতুন থেকে। মাধ্যমিক স্তরে সরকারের বিনা মূল্যে বিতরণের চাহিদার অর্ধেক বই না এখন পযৃন্ত না পাওয়ার জন্য শিক্ষা অফিসারের গাফিলাতিকেই দায়ি করছেন শিক্ষকেরা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সহায়ক মন্টু লাল হালদার জানান, ২০২১ বর্ষে উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের ২লাখ ২শ ৬০পিচ বইয়ের চাহিদা রয়েছে। চাহিদার বিপরীতে উপজেলায় অর্ধেকেরও কম বই পাওয়া গেছে। উপজেলায় প্রাপ্ত বইয়ের সংখ্যা ৯৪ হাজার ৬শ পিচ।
সূত্র মতে, বই উৎসবের মাত্র এক দিন বাকী থাকলেও বুধবার পর্যন্ত ষষ্ঠ শ্রেণির চাহিদানুযায়ি ৫০হাজার ৪শ পিচ বইয়ের বিপরীতে সকল বই পাওয়া গেলেও সপ্তম শ্রেণির জন্য চাহিদার ৪৭হাজার ৬শ কপির বিপরীতে বই পাওয়া গেছে মাত্র ২৩হাজার ৮শ কপি। অষ্টম শ্রেণির ৪৭হাজার ৬শ পিচ বইয়ের বিপরীতে পাওয়া গেছে ২০হাজার ৪শ কপি, নবম শ্রেণির ৫৪হাজার ৬শ ৬০কপি বইয়ের বিপরীতে এক কপি বইও পাওয়া যায়নি।
একাধিক প্রধান শিক্ষক নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, বর্তমানে তাদের যে স্বল্প পরিমান বই সরবরাহ করা হয়েছে তা অনেক আগেই উপজেলায় এসেছে। বই সংকটের কথা শিক্ষা অফিসারকে বলে তাকে তাগিদ দেয়ার কতা বরঅ হলেও তিনি জেলা বা ঠিকাদারকে কোন তাগিদ দেন নি। তাই বই উৎসবে শিক্ষার্থীরা নতুন বই থেকে শিক্ষা অফিসারের কারণে বঞ্চিত হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম নবম শ্রেণিতে কোন বই না পাওয়ার সত্যতাসহ বই সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, চাহিদার অর্ধেক বই পাওয়া গেছে উপজেলায়। আগামী ১৫ জানুয়ারি মধ্যে বাকী বই পাওয়া যাবে বলে আশা করেন তিনি। তবে এব্যাপারে তিনি কোথাও যোগাযোগ করেছেন কিনা তা জানাতে পারেন নি।
CBALO/আপন ইসলাম