স্টাফ রিপোর্টারঃ
সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের কুঠিসাতবাড়ীয়া গ্রামে সাতবাড়ীয়া জমিদার বাড়ি অবস্থিত। এ জমিদার বাড়ি থেকেই তৎকালিন সময়ের অন্যতম মুসলিম জমিদার হিসাবে শ্রীযুক্ত মুন্সী মেহের উল্লা খান শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়ার বেশ কয়েকটি মৌজার জমিদারীর কাজ পরিচালনা করেন। এটি এখন খা বাড়ি নামে পরিচিত।
জমিদার মুন্সী মেহের উল্লা খান আনুমানিক ১৮৬৬ সালে নওকৈর খা বাড়িতে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম বিদু খা। কৈশোরে পিতার মৃত্যুতে নানার বাড়ি শাহজাদপুরের বেলতৈল ইউনিয়নের সাতলাঠি’তে বড় হন। সুশ্রী চেহারার মেহের খা কুঠি সাতবাড়ীয়ার এক ধনাঢ্য পরিবারে বিয়ে করেন এবং এখানেই বসবাস শুরু করেন।১৯৪২ সনে শাহজাদপুর থানাধীন পরগনা ইসুফশাহীর অন্তর্গত জমিদার শ্রীযুক্ত জগদীশ চন্দ্র সিকদার এর নিজ নামীয় ও ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত জমিদারীর মোট আটটি তৌজি মুন্সী মেহের উল্লা খান ৩০০ টাকায় ক্রয় করেন। তৌজিগুলো হলো শাহজাদপুর থানাধীন মাকরকোলা, পাড়কোলা, চান্দর আজিজ চান্দর, দারিয়াাপুর, মনিরামপুর, বিলকলমী, কায়েমপুর ও উল্লাপাড়া থানাধীন খিদ্র মনোহরা।
১৯৫১ সনের ৩০ মে তারিখে জমিদার মুন্সী মেহের উল্লা খানপাবনা সেটেলমেন্ট ৩১৯,৩২৩ ও ৩২৫ নং খতিয়ানে উল্লেখিত সম্পত্তি নিলামে ক্রয় করেন। জমিদারী পরিচালনার কাজে তিনি অত্যন্ত দক্ষ ও চৌকষ ছিলেন।
তৎকালিন সময়ে জমিদার কর্তৃক প্রজা নিপীড়নের ইতিহাস থাকলেও মেহের খা ছিলেন এর বিপরীত। তিনি একজন জন হিতৈষী ও প্রজাবৎসল মুসলিম জমিদার ছিলেন। জমিদার হয়েও তিনি অত্যন্ত সাদাসিধে জীবন যাপন করতেন। একারনে তিনি তার বাড়িতে কোন অট্রালিকা তৈরী করেননি। তিনি প্রায় ১১ বছর জমিদারীর কাজ পরিচালনা করেন। অবশেষে ১৯৫০ সালেপূর্ব পাকিস্তানের স্টেটএকুইজিশন আইন পাস হলেও এ অঞ্চলে ১৯৫৩ সালে জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হয়। শতাধিক বছর বয়সে আনুমানিক ১৯৬৭ সালে তিনি মারা যান। মৃত্যুর পুর্বে তিনি তার নিকট আত্মীয়-¯^জন, এতিম ও গরীবদের মাঝে নিজ নামীয় সম্পত্তির বেশির ভাগই মৌখিক দান করে গেছেন।
CBALO/আপন ইসলাম