বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩৭ অপরাহ্ন

ই-পেপার

নান্দাইলে হিজড়াদের দৌড়াত্ম্য অশ্লীল আচরনে যাত্রীরা বিব্রত

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২০, ৮:৫৯ অপরাহ্ণ

নান্দাইল ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ

হিজড়া মানে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। তারা নহে নারী, নহে পুরুষ। সৃষ্টির লীলা খেলায় এক অন্যজাতিতে রূপান্তরিত তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। তারা মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনকে ত্যাগ করে পরিবারচ্যুত হওয়ায় তৃতীয় লিঙ্গের এই শ্রেণি দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে। এটা যেন আরেকটি নতুন সমাজের রূপ দিয়েছে। তবে তারা সামাজিকভাবে অভিশপ্ত না হলেও বর্তমানে তাদের আচার-আচরণে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলাতে এমন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের দেখা যায় দলে দলে ঘোরাফেরা করতে। তারা স্বাভাবিক নারীদের মতোই চলফেরা করতে পারলেও সমাজও যেন তাদেরকে বাঁকা চোখে দেখে। ফলে তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে কোন কর্মসংস্থানে যোগ না দিয়ে রাস্তাঘাট ও যানবাহনে চলাচলকারী সাধারণ মানুষের কাছে বকশিসের নামে টাকা আদায় করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। তবে বর্তমানে বকশিসের নামে টাকা আদায় জোরপূর্বক জুলুমের রূপ নিয়েছে।

 

এতে করে রাস্তাঘাটে যানবাহনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিসহ হয়রানির শিকার হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার জুম্মাহর দিন এলেই রাস্তাঘাটে এদের দৌড়াত্ম্য বেশি দেখা যায়। শুধুমাত্র শুক্রবার দিনটিকে তারা বিশেষ দিন হিসেবে বেছে নেওয়ার পিছনেও কারণ রয়েছে। এই দিনটি ইসলাম ধর্মালম্বী মানুষের জন্য একটি শুভ দিন বলে বিবাহ উৎসবের দিন ধার্য্য করা হয়। ফলে বর ও কনের গাড়ি রাস্তায় গতিরোধ করে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা বকশিসের নামে জোর-জুলুমভাবে টাকা আদায় করে। তাদের চাহিদামত টাকা না দিলে অশ্লীল ভাষা ব্যবহারসহ অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, এমনকি গায়ে পর্যন্ত হাত দিতে দ্বিধাবোধ করে না। তাদের সম্পর্কে আরও জানা যায়, শীতকালেই তাদের দৌড়াত্ম্য বেশি দেখা যায়। এছাড়া বিভিন্ন হাট-বাজারে গিয়ে দোকান পাটের ব্যাবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতা-পথচারীদেরকে বকশিসের জন্য হয়রানি করে থাকে।

 

তারা সড়ক বা মহাসড়ক বলতে কোন কিছুই না মেনে যখন তখন রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে গাড়ির গতিরোধ করে। শুধু তাই নয়, গ্রামের বিয়ে বাড়িতে গিয়েও এধরনের আচরণ করে থাকে। এ বিষয়ে হিজড়াদের সর্দার লাভলী আক্তার জানায়, নান্দাইলে আমাদের দুই-তিনটা দল আছে। অনেকসময় বাহিরের কোন দল আমাদের এলাকায় ঢুকে মানুষদেরকে হয়রানি করে থাকে। তবে আমরা মানুষের কাছে হাত পেতে অর্থাৎ চাইয়া-মাইগ্যা খাই। আমরা কাউকে কোন ধরনের হয়রানি করিনা। সরকারিভাবে কোন কিছু পান কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের খোজঁ খবর কে নেয় বাবা? আমরা আমাদের মতই থাকতে হয়। আমরা কিছুই পাইনা।” এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. এরশাদ উদ্দিন জানান, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ তথা হিজড়াদের জন্য বর্তমান সরকার নীতিমালা ও ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। খুব শিগগিরই তা বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করছি। আর রাস্তাঘাটে যাত্রী সাধারণকে হয়রানির বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

 

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর