জাকির আকন,বিশেষ প্রতিনিধি:
দেশের বৃহত্তম বিল চলনবিলে খালে ও মাঠের পানিতে মিলছে এখন হাসের শাসুক মাছসহ বিভন্ন খাবর আর এই খাবার খাওয়াতে বিভিন্ন জেলার হাস পালনকারীরা এনেছেন লক্ষাধিক হাস। সরজমিনে বিলে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে এই মৌসুমে চলনবিলে বিভিন্ন খালে ও মাঠের পানিতে মিলছে শামুক । প্রতিদিন খাল থেকে হাজার হাজার বস্তা শামুক তুলে বিক্রি করছে এক শ্রেণীর মানুষ । অন্যদিকে খালে শামুক খাওয়াতে আনা বিভিন্ন জেলা হাজার হাস খাবার ভাওয়ার দৃশ্য শোভা পাচ্ছে । চলনবিলের কামাড়শোন গ্রামের ডুবো রাস্তার পার্শ্বে বকুল সরকারের বাড়ী ভাড়া নিয়ে বগুড়ার ওমর ফারুক নিয়ে এনেছে এক হাজার ৪শত হাস নিয়ে । আর সড়কের আরেক বাসিন্দা কামাল উদ্দিনের বাড়ীতে নাটোরের সিংড়ার আবু বক্কার নিয়ে এসেছে ১ হাজার ৩শত হাস ।
শুধু কামাড়শোন এই সড়কেই বাড়ীতে নয় চলনবিলের বিভিন্ন গ্রামের বাড়িতে বিভিন্ন জেলা থেকে হাসের খাবার খাওয়াতে এসেছে লক্ষাধিক হাস । বগুড়ার নিশিন্দারা এলাকার বাসিন্দা ওমর ফারুক জানান তিনি এক সপ্তাহ পূর্বে ২ জন রাখাল নিয়ে প্রায় দেড় হাজার হাস নিয়ে এসেছেন এবং এখন দৈনিক ৬শত ডিম দিচ্ছে ভাল খাবার পাওয়ার কয়েকদিন পরেই সবগুলোই ডিম দেবে বলে তিনি আশাবাদী । তিনি আরো জানান বিলের আড়ত থেকে প্রতি বস্তা ১শত টাকা দরে ১শত বস্তা শামুক কিনে বগুড়াতে পাঠিয়েছেন তার পুকওে খামাওে জন্য। চলনবিলের জহির উদ্দিন কলেজের শিক্ষক মোঃ আব্দুর রউফ জানান এই মৌসুমে শামুক খেয়ে হাসের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং একাধাওে ২-৩ মাসে একটি হাস থেকে ১হাজার টাকা আয় করা সম্ভব হয় ।
CBALO/আপন ইসলাম