অনলাইন ডেস্ক:বিয়ের আগে জানাই ছিল না, স্বামীর মাথায় একটাও চুল নেই। পুরোটাই পরচুলায় ঢাকা। কিন্তু বিয়ের পরে সেই কথা আর গোপন থাকেনি। আর সেটা মেনে নিতেও রাজি নন স্ত্রী। স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে পুলিশে প্রতারণার অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তবে শুধু টাক গোপন করাই নয়, স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনসহ আরো কিছু অভিযোগ তুলেছেন ওই নারী।
ভারতের মুম্বাইয়ের নয়া নগর থানার মিরা রোডে বাড়ি ওই পরিবারের। স্বামীর বয়স ২৯ এবং স্ত্রীর ২৭। গত মঙ্গলবার নয়া নগর থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন স্ত্রী। নয়া নগর থানার সিনিয়র ইন্সপেক্টর কৈলাস বারভে জানিয়েছেন, ‘গত সেপ্টেম্বর মাসেই ওই দম্পতির বিয়ে হয়েছে। স্ত্রী সম্প্রতি জানতে পেরেছেন, স্বামীর মাথায় টাক এবং সেটা ঢাকতে তিনি সব সময় পরচুলা পরে থাকেন। যেটা বিয়ের আগে তাঁকে জানানোই হয়নি। নারীর বক্তব্য, এমনটা জানলে বিয়েতে মত দিতেন না তিনি।’
ওই নারী পুলিশকে জানিয়েছেন, টাকের কথা জানতে পারার পরে তিনি শ্বশুরবাড়ির লোকদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তাঁরা বিষয়টিকে আমল দিতে চাননি। উল্টো তাঁর ওপরে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন। শুধু তাই নয়, নারীর এমনও অভিযোগ করেছেন যে, তাঁর স্বামী অস্বাভাবিক যৌনতার জন্য তাঁকে জোর করেন এবং সন্দেহের বশে তাঁর মোবাইল ফোনের কল ও চ্যাট পরীক্ষা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, নারীর বক্তব্যের ভিত্তিতে বিশ্বাসভঙ্গ, অস্বাভাবিক যৌনতায় চাপ, নির্যাতন, মানহানীসহ বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি ধারায় অভিযুক্ত স্বামী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরই মধ্যেই অভিযুক্তরা আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছেন আদালতে। বাকিদের জামিন মঞ্জুর হলেও অভিযুক্ত স্বামীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
সূত্র: আনন্দবাজার।