মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০৯ অপরাহ্ন

ই-পেপার

পার্বত্য চট্টগ্রামের ২৮ পাড়াকেন্দ্র অনলাইন শিক্ষার আওতায় আসছে

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০, ৮:৫৮ অপরাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্টঃ
পার্বত্য চট্টগ্রামের ২৮ দুর্গম পাড়াকেন্দ্র প্রাথমিক স্তরে ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আসছে। সোমবার (১৯ অক্টোবর) টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে এ বিষয়ক একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল প্লাটফর্মে যুক্তি হয়ে চুক্তি স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য ডিজিটাল পাড়া কেন্দ্রকে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, এটি একটি নোভেল ভেঞ্চার। এটি পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল করার বর্তমান সরকারের এক মহতি উদ্যোগ।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের মানবসম্পদকে ডিজিটাল দক্ষতা দিতে না পারলে বাংলাদেশের ভবিষ্যত তৈরি হবে না। এ লক্ষ্যে প্রাথমিক স্তর থেকে ডিজিটাল শিক্ষা অপরিহার্য। পাড়াকেন্দ্র এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ডিজিটাল করতে পারলে আমরা বৈষম্যহীন ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।
ডিজিটাল কনটেন্টের ওপর জোর দিয়ে মন্ত্রী বলেন, পাড়াকেন্দ্র ডিজিটাল করার কর্মসূচি গোটা দেশের জন্য আমুল রূপান্তরের যাত্রা।
শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রাকে বেগবান করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ডিজিটাল করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ডিজিটাল করার লক্ষ্যে খুব শিগগিরই এ ধরনের সমঝোতা স্মারক সাক্ষর হবে।
শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, সবার সহযোগিতা থাকলে ডিজিটাল শিক্ষা চালু করা কঠিন হবে না।এটি পরিচালনার জন্য ডিজিটাল বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। সামান্য প্রশিক্ষণ পেলে ডিজিটাল ক্লাস পরিচালনা সম্ভব।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ২০০৭ সালে পাড়াকেন্দ্র দেখে তাকে ডিজিটাল করার বিষয় নিয়ে লিখেছিলেন। মন্ত্রী রাঙ্গামাটিতে ২০০১ সালে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল চালু করার পাশাপাশি চাকমা সফটওয়্যার তৈরির স্মৃতিকথাও স্মরণ করেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আফজাল হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুস্তফা কামাল, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহসিনুল আলম এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক বদিউর রহমান বক্তৃতা করেন।
CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর