পাবনা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নকে ঘিরে তৃণমূলে অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ স্থানীয় নেতাকর্মীরা সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাতে ভাঙ্গুড়া পৌর এলাকায় বিক্ষোভ, মশাল মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে জানিয়ে দেন “বহিরাগত প্রার্থী মানি না, মানব না।”
সন্ধ্যার পর ভাঙ্গুড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হাতে জ্বলন্ত মশাল, মুখে তীব্র স্লোগান এভাবেই তারা পৌরসদরের প্রধান সড়কগুলো ঘুরে বড়াল রেলওয়ে মাঠে একত্রিত হন। প্রতিটি স্লোগানে ছিল ক্ষোভ, অপমানবোধ আর দীর্ঘদিনের বঞ্চনার প্রতিফলন “এলাকার আসন, এলাকার প্রার্থী চাই!” “ত্যাগীদের বাদ দিয়ে চাপিয়ে দেওয়া প্রার্থী চলবে না!”
বড়াল মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন, ভাঙ্গুড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুর রহমান লিটন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সোহেল রানা, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সুজন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ আলী, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সালাম নূরসহ নানা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। বক্তব্যে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতি খোলাখুলি অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
এসময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তিনি এই আসনের মানুষ নন, তৃণমূলের সঙ্গে তার কোনো রাজনৈতিক যোগাযোগও নেই। এমন প্রার্থী মাঠে নেমে দলীয় অবস্থানকে শক্তিশালী করবেন তো দূরের কথা, বরং কর্মীদের উৎসাহ ভেঙে দেবে বলেই তাদের মত।
তারা স্পষ্টভাবে বিকল্প হিসেবে দুইজন স্থানীয় নেতার নাম সামনে আনেন সাবেক এমপি কে. এম. আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরা।
বক্তাদের ভাষ্য এই দুইজন সংগঠনের ভরসার নাম, মাঠের রাজনীতিতে অভিজ্ঞ ও কর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্য। তাদের যেকোনো একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হলে দল শক্ত অবস্থানে থাকবে। সমাবেশে হুঁশিয়ারিও উচ্চারিত হয় স্থানীয় ত্যাগী নেতার পরিবর্তে বহিরাগত চাপিয়ে দিলে এই ক্ষোভ আরও ছড়িয়ে পড়বে, আন্দোলন থেমে থাকবে না।
ভাঙ্গুড়ার নেতাকর্মীদের অবস্থান এখন একটাই “এই আসন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় শেষ। তৃণমূলের চাওয়া-পাওয়াকে সম্মান দিন।”