স্টাফ রিপোর্টারঃ
করোনা ভাইরাস সংক্রমণে দেশ ব্যাপি কর্মহীন হয়ে পড়া ক্ষতিগ্রস্হ প্রায় ৫০ লক্ষ পরিবারের মাঝে আড়াই হাজার টাকা করে নগত মানবিক সহায়তা কার্ডের উদ্ধোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। গত সপ্তাহে মানবিক সহায়তা কার্ডের উদ্ধোধনের পর রাজারহাট উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে একাধিক সরকারি সুবিধা ভোগী ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত করে রাজারহাট উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৮০৯৮ জনেরএকটি স্বজনপ্রীতির তালিকার প্রেরন করেন। উক্ত তালিকার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করনের লক্ষে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ যোবায়ের হোসেন তার ফেসবুক টাইমলাইনে প্রকাশ করেন। তালিকা প্রকাশের পর জনসাধারনের মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠে।
এ বিষয়ে তদন্ত করে জানা যায়, রাজারহাটের জনপ্রতিনিধিরা তাদের ছেলে, মেয়ে, ভাই, বোন, শশুর-শাশুরী, চাকুরীজিবী সহ একাধিক বিত্তবান আত্বীয়স্বজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন তালিকায়, এমনকি নিজের স্ত্রীর নাম ও নিজস্ব মোবাইল নম্বরও তালিকায় অনর্ভুক্ত করেছেন। রাজারহাট ইউপির ৩নং ওয়ার্ড সদস্য শাহ আলম তার স্ত্রীর নাম ও নিজ্স্ব মোবাইল নম্বর অসহায় দুঃস্হদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মনির হোসেন তার ছেলে, মেয়ে, ভাই, বোন, ভাইয়ের স্ত্রীর, নাম, এবং অনেক উচ্চবিত্তের নাম দুঃস্হদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। চাকিরপশার ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য তার নিজের ছেলের নাম দিয়েছেন, সুকদের ইউপি সদস্য আমিনুল দুঃস্হের তালিকায় তার নিজস্ব মোবাইল নম্বর অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যাতে ওই দুঃস্হদের টাকা বিকাশের মাধ্যমে নিজের একাউন্টে চলে আসে।
রাজারহাট উপজেলার অনেক জনপ্রতিনিধি কৌশলে মানবিক সহায়তা কার্ডের টাকা হাতিয়ে নিতে প্রতিটি ইউনিয়ন/ওয়ার্ডে বিত্তবান আত্বীয় স্বজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ যোবায়ের হোসেন বলেন- প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কার্ড (২৫০০ টাকা) এর খসড়া তালিকা ফেসবুকে প্রকাশ করার উদ্দেশ্য ছিল,আপনারা ভূল ত্রুটিগুলো আমাদের দেখিয়ে দিবেন। যেন আমরা তালিকা গুলো সংশোধন করতে পারি। আপনারা ভূল ত্রুটিগুলো বের করে দিয়েছেন। যারা পাওয়ার যোগ্য নয় আবশ্যিক ভাবে তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কার্ডের তালিকায় কোন প্রকার স্বজনপ্রীতি ও দূর্ণীতিকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না।