অনলাইন ডেস্ক:গত বছরের তুলনায় সম্পদ বেড়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মোট সম্পদের পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) তাঁদের জমা দেওয়া বর্তমান সম্পদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মোট সম্পদ গত বছরের তুলনায় বেড়েছে।
পিএমও প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এ বছর ৩০ জুন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মোট সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৮৫ লাখ রুপি। গত বছর এটা ছিল ২ কোটি ৪৯ লাখ রুপি। অর্থাত্ এক বছরের ব্যবধানে মোদির সম্পদ বেড়েছে ৩৬ লাখ রুপি। এ সম্পদ বেড়েছে মূলত ব্যাংকে টাকা জমা রাখা ও নিরাপদ বিনিয়োগের বিপরীতে।
২০২০ সালের জুনের শেষ পর্যন্ত মোদির হাতে নগদ ছিল ৩১ হাজার ৪৫০ রুপি। গান্ধী নগরের এনএসসি ব্রাঞ্চের এসবিআই অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৮ রুপি। এ ছাড়া তাঁর ব্যাংক এফডিআর এবং এমওডি ব্যালান্স ১ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৯৩৯ রুপি। তাঁর রয়েছে ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট। এতে রয়েছে ৮ লাখ ৪৩ হাজার ১২৪ রুপি। জীবন বিমা রয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৫৭ রুপি। এ ছাড়া ঘোষিত অস্থাবর সম্পদ ১ কোটি ৭৫ লাখ রুপি। এ সময়ে তিনি কোনো ব্যক্তিগত ঋণ নেননি এবং তাঁর নামে কোনো গাড়িও নেই। মোদির ৪৫ গ্রাম ওজনের চারটি সোনার আংটি রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার রুপি। এ ছাড়াও মোদি সম্পত্তির হিসাবে জানিয়েছেন, গান্ধীনগর সেক্টর ওয়ানে তাঁর মালিকানাধীন ৩,৫১৩ বর্গ ফুটের একটি প্লট রয়েছে। তবে সেই সম্পত্তির যুগ্ম অংশীদার চারজন। অর্থাত্ মোদির অংশ ২৫ শতাংশ।
গত বছরের তুলনায় মোদির সম্পত্তি বাড়লেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মোট সম্পদের মূল্য কমেছে। শেয়ারবাজারে অস্থিরতা এবং বাজারের দুর্বল অবস্থাই এর জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২০ সালের জুন পর্যন্ত শাহর সম্পদের পরিমাণ ২৮ কোটি ৬৩ লাখ রুপি, গত বছর যা ছিল প্রায় ৩২ কোটি ৩ লাখ। শাহর ১০টি অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে এবং সেগুলো সবই গুজরাটে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঘোষণাপত্রে, অমিত শাহর মালিকানাধীন সম্পত্তি এবং তাঁর মায়ের কাছ থেকে পাওয়া উত্তরাধিকারের মূল্য ১৩ কোটি ৫৬ লাখ রুপি। তাঁর হাতে নগদ রয়েছে ১৫ হাজার ১৮৪ রুপি, ব্যাংকে জমা আছে ১ কোটি ৪ লাখ রুপি এবং বিমা ও পেনশন পলিসি বাবদ রাখা আছে ১৩ কোটি ৪৭ লাখ রুপি। ফিক্সড ডিপোজিট ২ কোটি ৭৯ লাখ রুপি এবং ৪৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকার গয়না রয়েছে তাঁর।
সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস।