পবিত্র কোরআনের ৫৯নং সূরা আল হাশর, মদীনায় অবতীর্ণ, আয়াত-২৪ (২২, ২৩ ও ২৪ আয়াত), রুকু-৩ এর সরল বাংলা অনুবাদ। আল্লাহ তায়ালা উক্ত সূরায় আল্লাহ তায়ালার মাহাত্ম্যের কথা বর্ণনা করেছেন। মহান রাব্বুল আলামিন সৃষ্টিকুলের সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন। তাই আমাদের প্রত্যেককে তাঁর এবাদত বন্দেগি ও শুকরিয়া আদায় করা উচিৎ। বিপদে-আপদে তাঁরই কাছে সাহায্য চাওয়া উচিৎ ও ধৈর্য ধারণ করা। ২২. তিনিই আল্লাহ তায়ালা, তিনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, দেখা-অদেখা সব কিছুই তাঁর জানা, তিনি দয়াময়, তিনি করুণাময়।
২৩. তিনি আল্লাহ তায়ালা, তিনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তিনি রাজাধিরাজ, তিনি পূত পবিত্র, তিনি শান্তি (দাতা), তিনি বিধায়ক, তিনি রক্ষক, তিনি পরাক্রমশালী, তিনি প্রবল, তিনি মাহাত্ম্যের একক অধিকারী; তারা যেসব (ব্যাপারে আল্লাহর সাথে) শেরেক করছে, আল্লাহ তায়ালা সেসব কিছু থেকে পবিত্র। ২৪. তিনিই আল্লাহ তায়ালা, তিনি সৃষ্টিকর্তা, তিনি সৃষ্টির উদ্ভাবক, সব কিছুর রূপকার তিনি, তাঁর জন্যেই (নিবেদিত) সকল উত্তর নাম; আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তার সব কিছু তাঁরই পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছে, তিনি পরাক্রমশালী, তিনি প্রবল প্রজ্ঞাময়।
পরিশেষে বলা যায়, যেহেতু সৃষ্টিকুলের সব কিছুই মহান রাব্বুল আলামিনের মাহাত্ম্য, পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছে সেহেতু আমাদের অন্য কারো কাছে মাথা নত করার কোনো প্রকার সুযোগ নেই। সুতরাং সকল প্রকার শেরেক ও বেদআত থেকে মুখ ফিরিয়ে এনে এক ও অদ্বিতীয় মহান আল্লাহ তায়ালার ইবাদত বন্দেগি করা একান্তভাবে আবশ্যিক। যদি তা না করি তবে মৃত্যুর পর কঠিন আযাবে গ্রেপ্তার করবেন তিনি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে সকল প্রকার শেরেক, বেদআত ও কুফুরি থেকে পানাহ চাচ্ছি। আমিন।
মো. স্বপন হোসেন, কামিল মাস্টার্স (আল হাদিস বিভাগ ২য় পর্ব) অধ্যয়নরত, মঙ্গলবাড়ীয়া কামিল মাদরাসা, পাকুন্দিয়া, কিশোরগঞ্জ।