কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল সাবাহ মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। কুয়েতের সরকারি সংবাদ মাধ্যম কুয়েত টিভি এই তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
তাঁর মনোনীত উত্তরাধিকারী হলেন তাঁর ভাই ক্রাউন প্রিন্স শেখ নওয়াফ আল আহমদ আল সাবাহ। নতুন আমির হিসেবে শপথ নেবেন তিনি।
ক্রাউন প্রিন্সের অফিস এক বার্তায় বলেছে, কুয়েতের জনগণ, ইসলামী ও আরব বিশ্ব এবং বন্ধুত্বপূর্ণ জাতির লোকদের জন্য আজ চরম শোকের দিন। আমরা অত্যন্ত দুঃখ ও শোকের সাথে জানাচ্ছি যে, আমিরি দিওয়ান কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল আহমাদ আল জাবের আল সাবাহ আর নেই।
অনেক দিন ধরে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন আমির শেখ সাবাহ। এর আগে ২০১৯ সালেও একবার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। অসুস্থতার কারণে তখন যুক্তরাষ্ট্র সফর সংক্ষিপ্ত করেন আল-সাবাহ, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেখা করার সূচি পর্যন্ত বাদ দেন তিনি।
২০০২ সালে তার অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণ করা হয়। এর দুই বছর পর তার হার্টে একটি পেস মেকার প্রতিস্থাপন করা হয়। ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে মূত্রনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়।
২০০৬ সাল থেকে আরব উপসাগরের তেলসমৃদ্ধ দেশ কুয়েতের আমিরের দায়িত্বে ছিলেন শেখ সাবাহ। আরব উপসাগরে দুই চির শত্রু যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে টানা পোড়েন চরমে পৌঁছালে উভয় পক্ষকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন কুয়েতের আমির। বর্তমান আধুনিক কুয়েতের স্থপতি হিসেবে ভাবা হয় শেখ সাবাহকে।
শেখ সাবাহ কুয়েতের বড় প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখতে চেয়েছিলেন – সৌদি আরবের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক জোরদার করা, ইরাকের সাথে যোগাযোগ পুনর্নির্মাণ এবং ইরানের সাথে প্রকাশ্য সংলাপ বজায় রাখা তাঁর উল্লেখযোগ্য সাফল্য।
সূত্র : খালিজ টাইমস।