শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:০৯ অপরাহ্ন

ই-পেপার

উল্লাপাড়ায় যৌতুক না দেয়ায় গৃহবধুর মাথার চুল কেটে নির্যাতন

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :

যৌতুক হিসেবে বাবার বাড়ী শ্বশুড়ের নামে লিখে না দেয়ায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নারগিস খাতুন (৩০) নামে এক গৃহবধুকে শারীরিক নির্যাতনের পর মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে সিরাজগঞ্জ ২৫০শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নার্গিস খাতুন শ্বশুড় ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। এ সময় তার পাশে স্বামী শফিকুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন। নার্গিস খাতুন উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইব্রাহিমের মেয়ে ও একই গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী।

 

এ দম্পত্তি অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ১১ বছর আগে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন তারা। স্বামী শফিকুলের ইচ্ছা না থাকলেও শ্বশুড় হবিবর রহমান, ভাসুর জামাল ও শাহাদত যৌতুকের জন্য গৃহবধু ও তার পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে। যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় প্রায়ই তাকে নির্যাতন সইতে হতো। রোববার রাতে যৌতুক হিসেবে বাবার বাড়িটি লিখে দেবার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন শ্বশুড়সহ তার স্বজনেরা। অস্বীকার করায় শ্বশুড় হবিবর রহমান ও দুই জা’সহ বাড়ির অন্যান্যরা তাকে মারপিট করে। এক পর্যায়ে বটি দা দিয়ে নারগিসের চুল কেটে দেয়া হয়। নারগিসের স্বামী শফিকুল ইসলাম বলেন, ভালবেসে নিজের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করার কারনেই তার বাবা তার উপর ক্ষুব্ধ। এ কারণে তাদের উপর প্রায়শই নির্যাতন চালায় বাবাসহ পরিবারের অন্যান্যরা।

 

এ বিষয়ে উধুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, নারগিসের শ্বশুড়বাড়ীর পাশে বাবা ইব্রাহিমের একটি বাড়ি রয়েছে। যৌতুক হিসেবে সেটি লিখে দেয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই চাপ প্রয়োগ করছে হাবিবুর রহমান। বাড়িটি লিখে না দেয়ায় মাঝে মধ্যেই নারগিস ও তার স্বামী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এমনকি নিজের ছেলের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলাও দায়ের করেছিলেন হাবিবুর। এসব বিষয় নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে শালিসী বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু হাবিবুর কোন বিচার মানেন না। এ বিষয়ে উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার দাস বলেন, আমরা গৃহবধু নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই গৃহবধু হাসপাতালে রয়েছেন বলে জেনেছি। তিনি সুস্থ্য হয়ে ফিরে এসে অভিযোগ করলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

#CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর