নিউজ ডেস্ক:
প্রায় ২-৩ লাখ টাকার মালামাল লোপাটের অভিযোগে জননী কুরিয়ারের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার আইনে মামলা দায়ের করেছে শামীম এন্টারপ্রাইজ এর মালিক রাজন আকন্দ। মামলার বিবরণে জানা যায় গত ০৮/০৭/২০২০ ইং তারিখে ২৫২৬৬০ নম্বর মেমুতে “জননী এক্সপ্রেস পার্সেল সার্ভিস” এর প্রধান শাখা পল্টন থেকে কিশোরগঞ্জ শাখায় প্রিন্টকৃত মেমু বই, স্টিকার ও পানির ফিল্টারের মেমব্রিন পাঠানো হয়। মালামালের কার্টুন টি সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোন ফোন না আসলে যোগাযোগ করার পর জানা যায় এটি পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে হেড অফিসে যোগাযোগ করলে সময় চায় জননী কর্তৃপক্ষ। তারপর সমাধান দেবে বলে আশ্বাস দিয়েও কোন যোগাযোগ করেনি। বরং পুলিশ ও মিডিয়া ওনারা লালন করেন, এমন হুঁশিয়ারে যদি কিছু করতে পারে করে ফেলতে এমন কথাও বলে কর্তৃপক্ষ। এসব বিষয় ও জননীর সকল অনিয়ম কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে ০৬/০৯/২০২০ ইং তারিখে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। যাঁহার অভিযোগ নম্বর এনইইসি-৩৪৮৩০। মামলার অভিযোগ পত্রের হুবুহু কপি তুলে ধরা হলো:
বরাবর,
মহাপরিচালক জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার টিসিবি ভবন, কারওয়ান বাজার, ঢাকা। বিষয়: গুরুত্বপূর্ণ মালামাল গায়েবের অভিযোগ গ্রহণের জন্য আবেদন। জনাব, শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন। আমি রাজন আকন্দ একজন ক্ষুদে উদ্যোক্তা। সারাদেশে প্রতিদিন ই আমার কোন না কোন মালামাল কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানো হয়ে থাকে। তাই গত ০৮/০৭/২০২০ ইং তারিখে ২৫২৬৬০ নম্বর মেমুতে “জননী এক্সপ্রেস পার্সেল সার্ভিস” এর প্রধান শাখা পল্টন থেকে কিশোরগঞ্জ শাখায় প্রিন্টকৃত মেমু বই, স্টিকার ও পানির ফিল্টারের মেমব্রিন পাঠিয়ে ছিলাম। যা আমার কেনা মূল্য ১৮,৮০০ টাকা এবং কাস্টমারের কাছে বিক্রি মূল্য ২৪,৫০০ টাকা। মালামালের কার্টুন টি সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোন ফোন না আসলে যোগাযোগ করার পর জানা যায় এটি পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে হেড অফিসে যাওয়ার জন্য বলা হয়। দুই বার হেড অফিসে গেলে বার বার সময় নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারপর ঈদের পর সমাধান দেবে বলে আশ্বাস দিয়েও কোন যোগাযোগ করেনি। ওভার ফোনে ও সরাসরি আবার যোগাযোগ করলে আরও কয়েকবার তারিখ ও এই ব্যক্তি ওই ব্যক্তি দেখবে বলে সময় পার করতে থাকে। আমি একজন মিডিয়া কর্মী থাকায় আমার বড় ভাই জননী কুরিয়ারের জিএম কে বলে বিষয়টি মিডিয়াতে দেবে।
এতে জিএম আমাকে বলে পুলিশ ও মিডিয়া ওনারা লালন করেন, যদি কিছু করতে পারি করে ফেলতে। তবু আমরা সমঝোতার খাতিরে বিষয়টি বাদ দিলাম এবং এর সমাধান চাইলাম। অত:পর ওনি শুধুমাত্র ক্যাশ মেমু বইয়ের মূল্য দিয়ে লিখিত অভিযোগ করতে বলে। যা তিন দিনের মধ্যে সমাধান দেওয়ার আশ্বাস দেয়। লিখিত অভিযোগ দেওয়ার ৮ দিন চলে যাওয়ার পরও কোন যোগাযোগ করেনি কর্তৃপক্ষ। তাঁরপর আমি যোগাযোগ করলে জরিমানা হিসেবে ২,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিবে বলে জানায়। উক্ত বিষয়ে আমি যতটা না মর্মাহত তাঁরচেয়ে বেশি মর্মাহত তাঁদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন প্রকার একটা কলও দেয়নি আমাদের। যার ফলে আমি মনে করি আমার গুরুত্বপূর্ণ মালামাল গুলো ওনারা আত্মসাৎ করেছে। তাছাড়া আমার ২৪,৫০০ টাকার মালামাল কাস্টমারের কাছে দেড় মাসেও না দিতে পারলে আমার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ এর মামলা করবে এমন কথা বললে আমি বাধ্য হই তা রি-প্রিন্ট ও নতুন কিনে আবার পাঠাতে।
তাই শুধুমাত্র জননী কুরিয়ারের কারনে আমার দ্বিগুন খরচ ও তাঁদের কাছে কিশোরগঞ্জ থেকে বার বার ঢাকায় ছুটে আসার কারনে প্রতিবার প্রায় ২-৩ হাজার করে আমার ১২-১৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রায় ৪০,০০০ নগদ টাকার ক্ষতি সহ সময়, গ্রাহকের অনাস্থা, ২-৩ জন ব্যক্তির সময় দেয়া সব মিলিয়ে আমি প্রায় ২-৩ লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। এই করোনা কালীন সময় যা আমার ব্যবসা কে পথে নামিয়ে দিয়েছে। অতএব, মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন, আমার উক্ত মালামাল এর সকল ক্ষতিপূরণ সহ এর একটি দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি। নিবেদক মোঃ রাজন আকন্দ স্বত্তাধীকারী শামীম এন্টারপ্রাইজ বিডি ০১৭৬৩-৬২৯২৩৩
#CBALO/আপন ইসলাম