বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৭ অপরাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঠাকুরগাঁও কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাজহারুল সম্পাদক ওবায়দুল এমন কোনো পরিস্থিতি নেই যেখানে নির্বাচন ব্যাহত হতে পারে: মির্জা ফখরুল আটোয়ারী উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত লামায় ডেংগু বিষয়ে পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতা ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত পাবনা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে ঈশ্বরদীতে ম’শা’ল মিছিল “নকল দুধের ভয়ংকর সাম্রাজ্য, খাঁটি দুধের রাজধানী পাবনা এখন ‘সাদা বিষের’ অন্ধকার জগত” অভয়নগরে কোটি টাকার সার আত্মসাৎ চক্র ধরা, ডিবির অভিযানে আটক ৩ উদ্ধার ২২ লাখ টাকা

যশোর বাঘারপাড়া সাবেক মেয়রের সাজা বহাল

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০২০, ৯:০৬ পূর্বাহ্ণ

মোঃ কামাল হোসেন যশোর থেকে:

যশোরের বাঘারপাড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র খলিলুর রহমানের ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মামলার সাজা বহাল রেখে আপিল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আত্মসমর্পণ করতে বৃহস্পতিবার আইনজীবীর মাধ্যমে খলিলুর রহমানকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক যশোরের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০১৬ সালের ২ আগস্ট যশোরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক এক রায়ে আসামি খালিলুর রহমানকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। বর্তমানে সাজাপ্রাপ্ত খালিলুর রহমান জামিনে আছেন। খলিলুর বাঘারপাড়া পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত মেয়র ও দোহাকুলা গ্রামের মৃত সুফি আবু দাউদ হোসেনের ছেলে। জানা যায়, বাঘারপাড়ার দোহাকুলা গ্রামের মৃত আমির আলী বিশ্বাসের ছেলে মশিয়ার রহমান একজন ব্যবসায়ী। তিনি দোহাকুলা বাজারের উত্তরপাশে নদীর পাড়ে খাসজমি বন্দোবস্ত দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন। জমির পরিমাণ ছিল ১০ বর্গমিটার। ২০১০ সালের ১৬ জানুয়ারি রাতে খলিলুর রহমান কয়েকজন অপরিচিত লোক নিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন। ২১ জানুয়ারি রাতে তিনি জমিতে প্রাচীর দিয়ে দখল নিয়ে নেন। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি।

 

এরপর ২৪ জানুয়ারি তিনি দুদক যশোরে অভিযোগ দেন। দুদক কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ২৬ জানুয়ারি যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে একটি পিটিশন মামলা করেন মশিয়ার রহমান। অভিযোগটি গ্রহণ করে দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন বিচারক। এ অভিযোগের তদন্ত শেষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় খলিলুর রহমানকে অভিযুক্ত করে আদলতে প্রতিবেদন জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক আমিনুর রহমান। মামলাটি পরবর্তীতে চার্জ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

 

আদালতে উপস্থিত সাজাপ্রাপ্ত খলিলুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন বিচারক। এরপর সাজাপ্রাপ্ত খলিলুর রহমান যশোর স্পেশাল জজ আদালতের দেয়া সাজার বিপক্ষে হাইকোর্টে আপিল করেন। আপিল বিভাগ মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর বিচারক মো. শওকত হোসাইন এক রায়ে পূর্বের সাজা বহাল রেখে আপিল খারিজ করে দেন। এ আদেশ যশোর আদালতে এসে পৌঁছলে বৃহস্পতিবার সাজাপ্রাপ্ত খালিলুর রহমানকে আদালতে আত্মসমর্পণ করাতে তার আইনজীবীকে নোটিশ দেয়া হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর