পার্বত্য চট্টগ্রামকে ঘিরে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চলছে। সীমান্ত এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টি করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা হচ্ছে। তবে বিজিবির প্রতিটি সদস্য যতক্ষণ দায়িত্বে রয়েছে, ততক্ষণ এসব অপচেষ্টা সফল হবে না বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর রামগড় ৪৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আহসান উল ইসলাম, পিএসসি।
আজ বুধবার(২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রামগড় জোন সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত মাসিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় বিজিবি অধিনায়ক বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষা শুধু বাহিনীর দায়িত্ব নয়; এটি রাষ্ট্র ও জনগণের সম্মিলিত দায়িত্ব। পাহাড়ি ও বাঙালি সব জনগোষ্ঠীর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতি বজায় রেখেই টেকসই শান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব।
মতবিনিময় সভায় দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। সন্ত্রাসী তৎপরতা, অপহরণ ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণ করা হয়।
এ ছাড়া মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান প্রতিরোধ, পাহাড় কেটে মাটি ও বালু উত্তোলন এবং কাঠ ও বাঁশের অবৈধ পরিবহন বন্ধে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এসব অপরাধের বিষয়ে তথ্য পেলে দ্রুত বিজিবিকে জানাতে স্থানীয় জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা এলাকার বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবির সহযোগিতা কামনা করেন। তারা দুর্গম সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে বিজিবির কার্যকর ভূমিকার প্রশংসা করেন।
সভায় ৪৩ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর ফারজিন ফাহিম , রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজির আলম,বিজিবির সহকারী পরিচালক শামসুল হক ,জনপ্রতিনিধি,রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ,হেডম্যান-কারবারি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আহসান উল ইসলাম বলেন, শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় বিজিবি সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি দেখা দিলে দেরি না করে তাৎক্ষণিকভাবে বিজিবিকে জানাতে তিনি এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।