সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় সাংবাদিক পরিবারের বসতবাড়ী জোর পূর্বক দখলের পায়তারা করছে ভুমিদস্যু মর্তুজা ও গোলাম মোস্তফা গংয়েরা। থানায় সাধারণ ডায়রী করায় ক্ষিপ্ত হয়ে এসব ভূমিগ্রাসীরা।সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউপির রানীনগর গ্রামের সাংবাদিক পরিবারের উপর এমন সন্ত্রাসী হামলা চালায় তারা।এ বিষয়ে সলঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর জোরপূর্বক বসতবাড়ী দখলের চেষ্টায় সলঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়রী এবং ৮ ডিসেম্বর আরও একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন সাংবাদিক সাঈম সরকার। ভুক্ত ভোগী সাংবাদিক সাঈম সরকার জানায়,আমার প্রতিবেশী একই গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ সরকারের ৪ সন্তান আমাদের বসতবাড়ী বেআইনি ভাবে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টায় বেপরোয়া হয়ে উঠে। এমনকি আমাকে সমাজে হেয় করতে আমার বিরুদ্ধে কুরুচিপুর্ণ ও মিথ্যা অপবাদ চালিয়ে আসছে। শুধু তাই নয়,আমার ১০ বছরের শিশু কন্যা ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে প্রতিদিন রাস্তাঘাটে ও স্কুলে যাবার পথে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও আজে বাজে কথা বলে আসছে মর্তুজা বাহিনী। সন্ত্রাসী বাহিনী সম্প্রতি আমার বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ পুর্বক বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকী দেয়ায় আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ও স্ত্রী ভয়ে ঘর থেকে বের হতে আশঙ্কাবোধ করছে।এমন অবস্থায় আমার মেয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় তারা বাধা হয়ে দাঁড়ায়।তিনি আরও বলেন ,আমার বাবার মৃত্যুর পর হতে বাবার ক্রয়কৃত সম্পতি জবর দখলের চেষ্টা করে আসছে।এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০১৩ সালে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের স্বপরিবারের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায় এবং পরিবারের অনেককেই আহত করে।ঐ সময় থানায় মামলা দায়ের করলে রহস্যজনক কারণে তারা মামলা থেকে অব্যাহতি পায়। পরে জমিজমা নিয়ে আরেকটি মামলা হয় আদালতে।সে মামলায় আমাদের পক্ষে রায় দেন বিজ্ঞ বিচারক ।উক্ত রায়কে অমান্য করে প্রতিপক্ষরা উচ্চ আদালতে রিভিশন মামলা দায়ের করলে সেখানেও সাংবাদিক পরিবারের পক্ষে রায় হয়। শুধু তাই নয়,স্থানীয় সরকারের ইউপি চেয়ারম্যানের গ্রাম্য আদালতেও ভক্ত ভোগী পরিবারের পক্ষে রায় গ্রাম আদালতের বিচারক।যা ক্রয় সুত্রে,১৯৯২সাল হতে অদ্যাবধি নামজারি ও খাজনা সম্পন্ন রয়েছে। এহেনও অবস্থায় আবারো তারা বাড়ি ও জমি দখলের পায়তারায় লিপ্ত আছে এবং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা দায়ের করেছে।সলঙ্গা থানার উপ পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম জানান,৮ ডিসেম্বর সাঈম সরকার বাদি হয়ে করা অভিযোগটি তদন্ত চলছে।