ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের দিলালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন দক্ষিণ অংশে একটি পারিবারিক কবরস্থানে গত ৯ অক্টোবর দুপুরে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে কবরস্থানের সাইন বোর্ড, বেড়া ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে এবং কবরস্থানের মাঠি কেটে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে, দিলালপুর গ্রামের মৃত আবদুস সাত্তারের পুত্র মোঃ আবদুর রহিম, আবদুল হালিম সহ ৭জনের বর্তমান মালিকাধীন জমিতে পূর্ব পুরুষগন কবরস্থান তৈরি করে গেছেন। দিলালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ অংশে বিদ্যালয়ের দেওয়াল সহ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। কবরস্থানটি সীমানা প্রচীরের বাহিরে অবস্থান করছে। গত ৯ অক্টোবর দিলালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিনের নির্দেশে এবং নুরুজ্জামান বদরুলের নেতৃত্বে কিছু বহিরাগত ছাত্র নিয়ে কবরস্থানে হামলা চালিয়ে সাইনবোর্ড ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। কবরস্থানের সাথে পিলার উপড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে। আবদুর রহিম গংদের পৈত্রিক জমি বিদ্যালয়ের পিছনের ২টি পরিবারকে রাস্তা করে দেবার অজুহাত দেখিয়ে এই ভাংচুর করে প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। এসময় বাড়ি ঘরে হামলা ও ঢিল ছোড়ে ক্ষয়ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। কবরস্থানের পক্ষের লোকজন জানান, অহেতুক প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন এই জায়গা নিয়ে গোলযোগ তৈরি করে আবদুর রাজ্জাক ও আবদুল হাই নামক ২টি পরিবারের নিকট থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহন করে যাচ্ছে। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে দেন দরবার হলেও প্রধান শিক্ষক বিষয়টি মানতে রাজি হচ্ছেন না। নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারমিনা সাত্তার দিলালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণপাশ সংলগ্ন বিআরএস ২২৩৬নং দাগ ও ২২৪৯নং দাগের মধ্যবতী সীমানা সরজমিনে নিধারণ করার জন্য সরকারী সার্ভেয়ার নিয়োগ প্রদান করেন। সার্ভেয়ার কর্তৃক সরে জমিনে জমি পরিমাপ করতে গেলে প্রধান শিক্ষক সরকারী কাজে কোন সহযোগিতা না করে সরকারী কাজে বাধা প্রদান করেন। উক্ত বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিদ্যালয়ের বাউন্ডারী দেওয়ালের পরেও বিদ্যালয়ের কিছু জায়গা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকটি দেন দরবার হলেও বিষয়টি ফয়সালা হয়নি। অপরদিকে ময়মনসিংহের বিজ্ঞ অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে ফৌজদারী কা:বিধি ১৪৪ ধারায় মামলা দায়ের করার পর বিজ্ঞ আদালত প্রধান শিক্ষক দিলালপুর উচ্চ বিদ্যালয় রুহুল আমিন সহ ৪জনের নামে নালিশি ভূমিতে প্রবেশ করতে নিষেধ করার পরেও আদালতের নির্দেশের কথা শুনে এই ভাংচুর চালান বলে বাদী উল্লেখ করেন।