নওগাঁর রাণীনগরে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২৫টি পরিবার। গত কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিপাতে উপজেলার চকাদিন মৃধাপাড়া গ্রামে এ দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন পানিবন্দি হয়ে পড়া পরিবারগুলো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের মধ্যে ঢুকে পরেছে হাটু পানি। বাড়ির রান্না ঘরের চুলাও পানির নিচে। ঘরের খাট বা চৌকি ছাড়া বসার কোন জায়গা নেই। বাড়ি থেকে বের হতে হচ্ছে হাটুপানিতে। পানিবন্দি পরিবারগুলো কষ্ট করে কেউ নিজের বাড়িতে আছে, আবার কেউ অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
রাশেদা বিবি নামে এক নারী বলেন, জামাই-মেয়ের সঙ্গে একই বাড়িতে বসবাস করি। কয়েক দিনের ভারীবৃষ্টিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। বাড়ির মধ্যে হাটুপানি।কোথায় থাকবো, কোথায় খাবার রান্না করবো? তারকোন উপায় নেই। বাধ্য হয়ে ছেলের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে আছি। আমাদের গ্রামের মধ্যে থেকে পানি বের হওয়ার কোন পথ নেই। পানিবন্দি হয়ে আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, চকাদিন মৃধাপাড়া (হটাৎপাড়া) গ্রামে প্রায় ১৩০ ঘর মানুষের বসবাস। গ্রামে দু’পাশে ছোট ছোট দু’টি মাঠ রয়েছে। মাঠে ও গ্রামের মধ্যে পানি নিষ্কাশনের কোন পথ নেই। মেইন সড়কের পাশে একটি ড্রেন ছিল তাও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে করে মাঠে এবং গ্রামের মধ্যে থেকে বন্যার পানি ও বৃষ্টির পানি বের হওয়ার কোন পথ না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে গ্রামের ২০ থেকে ২৫টি পরিবার।
স্থানীয়রা বলছে, গ্রামের মধ্যে ড্রেন এবং কালভার্টের অভাবে প্রতিবছর গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে গ্রামের অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এমন দুর্ভোগ বছরের পর বছর ধরে পোহাতে হচ্ছে গ্রামের মানুষকে। দ্রুত এই জনদুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন, কালভার্ট নির্মাণ জরুরি।
এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাকিবুল হাসান বলেন, ওই গ্রামের লোকজনের দুর্ভোগের কথা আমি শুনেছি। পানিবন্দি পরিবারগুলোকে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হবে। আর পানি নিষ্কাশনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।