সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
কক্সবাজার সদর উপজেলা জাসাস এর পরিচিতি সভা, জাসাস বিএনপি গোলাপ ফুল বললেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের নির্বাহী মহাসচিব নির্বাচিত হলেন আনোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জ ১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোডাউন নাটোর ইমার্জিং কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন নাটোর রেড টিম আটোয়ারীতে ‘মানিকপীর সোনালী কিন্ডার গার্টেন’-এর কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি ও সনদ বিতরণ আলীকদমে মাতামুুহুরী নদীতে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু ভৈরব নদীতে নৌকা বাইচে উৎসবের জোয়ার, দর্শনার্থীর ঢল সাপাহারে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স জনবীমী’র পিঠা ও আনন্দ উৎসব 

বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন চর্চায় ‘থিংক ট্যাঙ্ক’ হবে ঢাবি: উপাচার্য

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২০, ৯:২১ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জীবন দর্শন চর্চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘থিংক ট্যাঙ্ক’ হিসেবে ভূমিকা রাখবে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধের একজন মানুষ। তিনি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমতা ও গণতান্ত্রিক সমাজ গঠন করতে চেয়েছিলেন। তাই বঙ্গবন্ধু আজও সমকালীন ও প্রাসঙ্গিক। “ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তিনি যুগ যুগ ধরে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁর সেই আদর্শ ও জীবন দর্শন চর্চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘থিংক ট্যাঙ্ক’ হিসেবে ভূমিকা রাখবে।” শনিবার বিকালে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম মৃত্যবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

উপাচার্য বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রয়েছে গভীর সম্পর্ক। ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি শুরু হয়েছিল এবং ১৯৭৫ সালে তার পরিসমাপ্তি ঘটেছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে। তাই তার প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায় দ্বায়িত্ব অধিকতর বেশি এবং মুখ্য।” বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন সম্প্রসারণ, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও জাতিসত্তা নিয়ে গবেষণা করতে বিশ্ববিদ্যালয় একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। সেই ইনস্টিটিউটের নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টি’। সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, “বঙ্গবন্ধুর শারীরিক মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু তিনি আমাদের সামনে একজন মৃত্যুহীন মানুষ। আমরা সেভাবেই তাকে বরণ করে নিয়ে আমাদের পথচলাকে সমৃদ্ধ করব এবং সঠিক পথে এগিয়ে যাব। “বঙ্গবন্ধু গণমানুষকে বুঝতেন। শৈশব থেকেই তিনি মনোজগৎকে আলোকিত করতে পেরেছিলেন।

 

তখন থেকেই তিনি গরীব, দুঃখী ও মেহনতি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।” তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন চর্চা ও তার আদর্শকে বুকে ধারণের আহ্বান জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচায (শিক্ষা) এএসএম মাকসুদ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. নিজামুল হক ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল হাসান, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। সভার শুরতে বঙ্গবন্ধুর উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। এর আগে সকালে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ প্রত্যেক হল ও আবাসিক এলাকার মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল এবং বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর