যাত্রীরা জানান, রাজধানীতে ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ও তাদের পরিবার। ঈদের ছুটির শেষ দিন হওয়ায় মহাসড়কে যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। যানবাহনের জন্য হাজারো মানুষ সড়কে অপেক্ষা করছেন। চাহিদার তুলনায় বাসের সংকট দেখা দিয়েছে।
যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাসের দেখা পাচ্ছেন না। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যেসব যাত্রীরা বাসের টিকিট কেটেছেন তারাও অপেক্ষায় আছেন গাড়ির। যারা সুযোগ পেয়েছেন তারা ট্রাকের ছাদেও রওনা হয়েছেন।
ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শাহ-আলী বলেন, “প্রতিবারই এই সময় এমন হয়। এবার সমস্যা বেশি। আগেভাগে টিকিট কেটে না এলে এখন আর যাওয়ার উপায় নেই। অফিসে না গেলেও সমস্যা হবে।”
নাটোর বড়াইগ্রাম এলাকার যাত্রী পারভিন খাতুন বলেন, “ঢাকায় মেয়ে পড়ালেখা করে। তাকে নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি। ওর বাবা সরকারি চাকরি করে। সে ছুটি শেষ হওয়ার আগেই ঢাকায় চলে গেছে। আগামীকাল থেকে মেয়ের স্কুল খোলা। ঢাকায় যাওয়ার কোনো বাস নেই। এখন পর্যন্ত টিকিট পায়নি। মেয়েকে নিয়ে গাড়ির অপেক্ষায় বসে আছি।”
সেবা লাইন বাসের চালক হাফিজুর রহমান বলেন, “অনেক বাস নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় পৌঁছাতে পারেনি। উত্তরবঙ্গের বাকি রুটের সব বাসই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৩-৪ ঘণ্টা দেরিতে ঢাকায় পৌঁছাচ্ছে। যমুনা সেতুর দুই পারে যানজট থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।”
তিনি বলেন, “যেসব যাত্রী আগেই টিকিট কেটেছেন, তারাই আগে যাচ্ছেন। একটি বাস ঢাকায় গিয়ে ফিরে এসে যাত্রী নিয়ে আবারো রাজধানীর উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছে। আমরা বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়া নিয়ে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছি।