“শিক্ষার জন্য এসো-সেবার জন্য বেড়িয়ে যাও” শিক্ষা অর্জনে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার গুরুত্ব অনস্বীকার্য আর আনুষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা চৌহালী সরকারি কলেজের কোন বিকল্প নেই। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী চৌহালী মহাবিদ্যালয় কলেজটির যাত্রা শুরু হয়।
এক সময়ের মহাবিদ্যালয় আজ ডিগ্রি কলেজ থেকে সরকারি কলেজ। বর্তমান সময়ে শিক্ষক ও ক্লাসরুম সল্পতা, মেয়েদের কমনরুম নাই, ল্যাব সামগ্রীর অভাব, কম্পিউটার ল্যাব সংকটের মধ্যেও দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে যে ভূমিকা নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছে সুদক্ষ শিক্ষক মন্ডলীরা।
সুপ্রাচীন কাল থেকেই চৌহালী উপজেলায় শিক্ষা -দীক্ষায় নারী ও যুবদের নিরক্ষর মুক্ত সমাজ ও শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে একঝাঁক শিক্ষা গুড়ুর আবির্ভাব ঘটে। পুর্ব ও উত্তর কালে চৌহালী উপজেলায় উচ্চ শিক্ষার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। তখন এই উপজেলায় পশ্চাৎপদ অনগ্রসর বিশাল গ্রামীন জন ঘোষ্টির উচ্চ শিক্ষার কথা বিবেচনা করে তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী শহীদ এম মনছুর আলীর নির্দেশে খাদ্য প্রতিমন্ত্রী মরহুম আঃ মমিন তালুকদারের ঐকান্তক প্রচেষ্টায় ১৯৭২ সালে চৌহালী থানার নামানুসারে চৌহালী মহাবিদ্যালয়ের নাম করণ করা হয়।
উপজেলার খাষকাউলিয়া ইউনিয়নের কুরকি মৌজায় জোতপারা বাজারস্থ শিরীষগাছ গুলের মতই দেশে শিক্ষায় অবদান রেখে বীরদর্পে দাড়িয়ে আছে কলেজটি।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কলেজটি জাতীয় করনের আদেশ প্রাপ্ত হয়ে আজ সরকারি কলেজ। কলেজ প্রতিষ্ঠাকালীন দায়িত্ব প্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো, আবুবকর সিদ্দিক। সরকারি কলেজে ( ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মো, আনোয়ারুল ইসলাম। বর্তমানে কলেজটিতে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান।
এ প্রতিষ্ঠানে বর্তমান শিক্ষক-কর্মচারির সংখ্যা ৩৩ জন ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। কলেজের নামে মোট জমির পরিমান ১১,০৪ একর।
মেধাবী শিক্ষার্থীরা দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে কলেজের সুনাম অর্জন করে আসছেন। তারই আলোকে
শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা যেমন সামন দিকে এগিয়ে যাবার সাহস পান, তেমনি প্রতিবন্ধকতাও সল্প করে চলার পথে। দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে কলেজ থাকায় ২টি টিনসেট ঘরে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। উপজেলা কমপ্লেক্স স্থাপন করুন কলেজ ক্যাম্পাস বাঁচানোর লক্ষ্যে সরকার কতটা নম্ভনীয় তা-ভাবার বিষয়। কলেজ ক্যাম্পাস উমুক্ত ও ভাসমান দপ্তরগুলো নিজের পায়ে দাড়ানোর লক্ষে দ্রুত মিনিস্ট্রি প্রতিবেদন ও টেন্ডার আহ্বান করা হলেই উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স স্থাপন হবে দাবি শিক্ষার্থীদের।
২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার টেবিলে বসবে এ কলেজ থেকে ৫’শ’র ওপরে শিক্ষার্থী।ছাত্র ছাত্রীরা সফলতার পাশাপাশি সুনাম অর্জন করবে পরীক্ষায় এমনটাই প্রত্যাশা করেন শিক্ষক মন্ডলীরা।
চৌহালী সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, মানুষ বা প্রতিষ্ঠান যাই হোক না কেন,অন্য মানুষ বা বৃহৎ পরিসরে জাতির কল্যানে কাজ করতে না পারলে কেউই মনে রাখে না এবং পথচলায় হোচট খেতে হয় মাঝে মধ্যেই। আমরা সবই বিশ্বাস করি, চৌহালী সরকারি কলেজ নিজের ও অ্যালামনাইদের কর্মের মাধ্যমে স্বমহিমায় যুগ যুগ ধরে টিকে থাকবে ইনশাআল্লাহ।