শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :

ভাঙ্গুড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ভূমি রেজিস্ট্রেশনের কার্যক্রম

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ভাঙ্গুড়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কার্যক্রম।এক যুগের অধিক সময় পূর্বে ভবনের বীম ও ছাদের অধিকাংশ প্যালেস্তার খসে রড বেরিয়ে ভবনটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

খোঁজ-খবর ও সরজমিন দেখা গেছে, প্রায় অর্ধশত বৎসর পূর্বের পুরাতন জরাজীর্ণ ভবনটির ভগ্ন দশায় প্রতীয়মান হয় যে,দীর্ঘদিন যাবত ভবনটি সংস্কার করা হয়নি।তাছাড়া অফিস অভ্যন্তরে স্যাঁত-স্যাঁতে পরিবেশের মধ্যেই স্তপকরে রাখা হয়েছে জমি রেজিস্ট্রশন কার্যক্রমের জন গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও বালাম বই।ফলে দিন দিন গুরুত্বপূর্ণ দলিল দস্তাবেশ ও নথিপত্র নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।জীবনের ঝঁকি নিয়েও উপায়ান্ত না পেয়ে বাধ্য হয়ে এই ভবনেই কাজ করতে হচ্ছে সাব-রেজিস্টার সহ কর্মচারীদের।অভিজ্ঞ মহল, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি থেকে ভূমি রেজিস্ট্রেশনের অফিস কার্যক্রম ও মূল্যবান নথিপত্র যত দ্রুত সম্ভব অন্যত্রে সরিয়ে নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তৎকালীন ফরিদপুর থানার অর্ন্তগত “ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন” কে ১৯৮১সালে ভাঙ্গুড়া থানা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।পরবর্তীতে ১৯৮২সাল থেকেই উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম শুরু হয়।উপজেলা পরিষদ কার্যক্রম চালুর পরে মন্ত্রণালয় থেকে প্রশাসনিক কাজের জন্য বিভিন্ন দপ্তরের ভবন নির্মাণ করা হয়।উপজেলা পরিষদের পূর্বদিকে তৎকালীন বন্ধ হয়ে যাওয়া দেওয়ানী আদালত কার্যক্রম ভবনে ওই সময়েই উপজেলা পর্যায়ে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়।পূর্বে নির্মিত প্রশাসনিক ভবন সমূহ পরিত্যক্ত ঘোষণার পর নতুন নির্মিত প্রশাসনিক ভবনে উপজেলা পরিষদের বেশিরভাগ অফিস স্থানান্তরিত হয়েছে। কিন্তু জনগুরুত্ব পূর্ণ এ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসটি পুরাতন জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস দলিল লেখক সমিতির দায়িত্বশীল মোঃ জাকির হোসেন মানিক, সাইফুল ইসলাম ও মোঃ বিপুল হোসেন বলেন, পুরাতন জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে দীর্ঘদিন ধরে ভূমি রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলছে। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রাণালয়ে বার বার আবেদন-নিবেদন করলেও কাজের কাজ হয়নি।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়ার সাব-রেজিস্ট্রার রিজভী ইবনে মাহমুদ বলেন, ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।কয়েক বছর পূর্বেই সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ভবনটি ব্যবহারের অযোগ্য করে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।কিন্তু উপায়ান্তর না পেয়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই এখানে অফিস করছি। জীবনের ঝুঁকির পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলি ঝুঁকিতে রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার বলেন,সাব- রেজিস্ট্রার অফিসটি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে হওয়ায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবে।তিনি আরোও জানান,এ বিষয়ে সাব-রেজিস্ট্রার উদ্যোগ নিলে তাকে প্রশাসনিক কাজে সহযোগিতা করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর