কম খরচে বেশি আয়ের আশায় পতিত জমিতে আদা চাষ শুরু করেছেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার চাষিরা। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে কম-বেশি বস্তায় আদা চাষের আগ্রহ বাড়ছে। দিন দিন বেড়েই চলেছে বস্তায় আদা চাষ। অর্ধ শতাধিক কৃষক আদা চাষে এবার সফলতার মুখ দেখতে চান।
বসতবাড়ি ও অন্য ফসলের সঙ্গে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বস্তায় আদা চাষ। কম খরচে উৎপাদন হওয়ায় খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে বিপণন করা সম্ভব বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কৃষকদের মাঝে বাড়তি আয়ের জোগানে বাণিজ্যিকভাবে বাড়ছে বস্তায় আদা চাষ। বস্তায় আদা চাষের খরচ অনেক কম। ৫০-৬০ টাকা খরচ করে প্রতি বস্তা থেকে প্রায় ১-২ কেজি আদা পাওয়া যাবে। পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে বাড়তি লাভের আশায় বস্তায় আদা চাষ শুরু করেছেন অনেকে। সফলতা পেলে ভবিষ্যতে আদার চাষের পরিধি বাড়বে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ভেংরি এলাকার কৃষক রাজিব হোসেন বলেন, আমি আগে কখনো বস্তায় আদা চাষ করিনি। এবার ৯৫০ বস্তায় চাষ করছি। বাড়ির পাশে পতিত জায়গায় চাষ করলেও তেমন কোনো রোগ বালাই দেখা দেয়নি। উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক পরামর্শে নিয়মিত আদা গাছ পরিচর্যা করে আসছেন। বস্তায় আদা চাষে খরচের তুলনায় লাভ বেশি হবে।
ঐ গ্রামের বাসিন্দা মো. জহুরুল হোসেন জানান, বাড়ির পাশে পতিত জমিতে ১০০ বস্তায় এই প্রথম আদা চাষ শুরু করেছেন। তার আশা এতে তিনি লাভবান হবেন।
ছাতারবাড়িয়া গ্রামের তাইবুর রহমান ৫০০ বস্তা, মির্জাপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম ২৫০ বস্তা, রুবেল হোসেন ৪৫০ বস্তা ও মিনহাজ ১৬৩০ বস্তায় আদা চাষ করে লাভের আশাবাদী। তারা সবাই এ বছরই প্রথম বস্তায় আদা চাষ করেছেন।
সিংড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ খন্দকার ফরিদ বলেন, উপজেলার ৬৬ জন কৃষক আদা চাষ করছেন। কৃষি বিভাগ সার ও কীটনাশক প্রদান করছেন। কৃষকদের নতুন এ পদ্ধতিতে আদা চাষ করতে উদ্বুদ্ধ করা ও বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বাড়ির আশপাশের ছায়াযুক্ত জায়গা, বাগান, পতিত স্থানে সহজেই এ পদ্ধতিতে আদা চাষ করা যায়। বাজার ভালো থাকলে কৃষকরা অনেক বেশি লাভবান হবে।