নাটোরের গুরুদাসপুরে নাজমুল হুদা সোহেল রাজ (৪৪) নামের এক ব্যাক্তিকে জমি রেজিষ্ট্রি করে না দেওয়ায় মাকে মারপিট করে ঘরে বন্দি করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মহারাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নাজমুল হুদা সোহেল রাজ মহারাজপুর গ্রামে ইসাহাক সালাফীর ছেলে। সেনা ক্যাম্প ও গুরুদাসপুর থানা পুলিশকে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেছেন বৃদ্ধা।
নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধার নাম হাফিজা বেগম (৭৫)। তিনি মহারাজপুর গ্রামের মৃত কৃষিবিদ আব্দুল বারীর স্ত্রী।
বৃদ্ধা হাফিজা বেগম বলেন, আমার প্রথম স্বামী ইসাহাক সালাফী মারা যাওয়ার পর কৃষিবিদ আব্দুল বারীর সাথে বিবাহ হয়। কৃষিবিদ আব্দুল বারী,নাজমুল হুদা সোহেল রাজ ও আমি একত্রে বসবাস করতাম। এই স্বামীও মারা গেলে কিছু জমির মালিক হই। সেই জমি নাজমুল হুদা সোহেল রাজের নামে রেজিষ্ট্রি করে না দেওয়ায় বেশ কিছুদিন যাবত আমাকে মারপিট করে ঘরে বন্দি করে রাখে। নাজমুল হুদা সোহেল রাজ সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ায় কেউ কিছু বলে সাহস পায় না। গত ১লা ডিসেম্বর নাজমুল হুদা সোহেল রাজ বাড়িতে না থাকার সুযোগে কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষীকোলে মেয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হই। বড়াইগ্রামের কালিবাড়ি এলাকায় পৌছালে মোটরসাইকেল নিয়ে এসে আমাকে পথরোধ করে মারপিট করে বাড়িতে নিয়ে বন্দি করে রাখে। আমার মোবাইল ফোন, টাকা পয়সা সব ছিনিয়ে নেয়।
নাজমুল হুদা সোহেল রাজ বলেন, মাকে কখনই মারপিট করা হয় নাই। বোনেরা মায়ের জমি রেজিষ্ট্রি করে নেওয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
গুরুদাসপুর থানার পরিদর্শক গোলাম মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়ের কারনে পারিবারিক ভাবে সমাধান করতে বলা হয়েছে। মারপিট করার বিষয়ে মৌখিক ভাবে জানানো হয়নি। যদি মারপিট করে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে আইনানুগ ববস্থা গ্রহন হবে।