সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দিঘীসগুনা নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মির্জা আব্দুর রশীদ বকুলের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, বাজারের জায়গা দখল ও গ্রামের বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকাল ৪টায় উপজেলার দিঘীসগুনা নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে শতাধিক এলাকাবাসী এ মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. সমির আলী বলেন, মির্জা আব্দুর রশীদ বকুল পাবনায় জনতা ব্যাংকে চাকুরি করার সময় রাজশাহী বিভাগীয় শাখায় আওয়ামী লীগের পক্ষে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিতি হয়েছিলেন। ওই সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে পুরস্কৃত করেন।
১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সহ-সভাপতি জাফর ইকবাল টিটু বলেন, মির্জা আব্দুর রশীদ বকুল দিঘীসগুনা নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে প্রায় ২৮-২৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য করেন। বর্তমান ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সেরাজুল হক কে দপ্তরি পদে এবং কৃষকদলের সভাপতি মোখলেছুর রহমানকে নাইট গার্ড পদে নিয়োগ দিয়ে জমি লিখে নেন। পরে মির্জা আব্দুর রশীদ বকুল সুকৌশলে তারা বিএনপি করার অপবাদে জোড়পূর্বক পদচ্যুত করেন। তখন বিষয়টি নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি হলে আওয়ামী লীগের সাথে ঘনিষ্ঠ থাকায় তিনি কর্ণপাত করেন নাই। এখন আমরা গ্রামবাসী ওই ভ‚মিদস্যু বকুলের বিচার চাই।
১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. মনজিল হক বলেন, ২০০৩ সাল থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মানবেতর জীবন-যাপন করায় গ্রামবাসীরা একটি পুকুর দেন কিন্তু দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ওই পুকুর লীজ দিয়ে আব্দুর রশীদ বকুল নিজেই টাকা আত্মসাৎ করে চলছেন। তা এখন গ্রামবাসীকে ফেরত দিতে হবে।
১নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সেরাজুল হক সেরাজ বলেন, আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে মিশে আব্দুর রশীদ বকুল দিঘী সদগুনা হাটখোলা মসজিদের জায়গার প্রায় ৩০টি পজিশন বরাদ্দ দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন এবং তিনি নিজেই ৪টি দোকানের পজিশন দখল করেছেন। যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
অপর দিকে মোখলেছুর রহমান শাহিন বলেন, আব্দুর রশীদ বকুল দিঘী সদগুনা সরকারি পল্লী মঙ্গল ক্লাবের জায়গা, গ্রামের দুটি কবরস্থানের জায়গা গোপনে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও দিঘী সদগুনা নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৪০ শতাংশ জমি তার ছেলে মির্জা ফারুক আহমেদ কে দলিল করেন দেন। ওই সম্পত্তি ফিরিয়ে নিতে এলাকাবাসী আদালতে মামলা করেছেন। যা বিচারাধীন। আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে গ্রামের গণমানুষের দাবী বিদ্যালয়ের নামে জমি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবী।
এ সময় আরো বক্তব্যে রাখেন, মো. নজরুল ইসলাম, মোক্তার হোসেন, সাইদুর রহমান, মাসুদ রানা, শাহিনুর রহমান, সেলিম রেজা আজাদ হোসেন প্রমূখ।