বেলাল হোসাইন,(খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার বহুল আলোচিত মায়ের পরকিয়া প্রেমিক কর্তৃক শিশু কন্যাকে ধর্ষণ ও মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ মামলার মুল আসামী শ্যাম প্রসাদ বণিককে অবশেষে পুলিশ গ্রেফতার করেছে । রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ মোঃ ফরহাদের নির্দেশনায় প্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার গভীর রাতে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার কাটিরহাট থেকে গুইমারা থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে আসামীকে গ্রেফতার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান। তবে এ জঘন্য ঘটনায় এখনও ধরা ছোঁয়ার বাহিরে নিজ শিশু কন্যা ধর্ষণের প্রধান সহযোগী মা শাহেদা আক্তার ময়না।
এ মামলায় নিজ শিশু কন্যাকে ধর্ষণে সহযোগীতা করায় ভিকটিমের মা সাহেদা আকতার ময়নাকেও অন্তভুক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলম।গুইমারা থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গুইমারা থানার ওসি মিজানুর রহমানের সহযোগীতায় তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এস.আই আল আমিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয় হাটহাজারীর কাটিরহাট থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
গত ২৬ জুলাই ১৩ বছর বয়সের নাবালিকা কণ্যা সন্তানকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ধর্ষকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন
করেন প্রবাস ফেরত পিতা ।সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, তার বিদেশ থাকার সুযোগে হিন্দু ধর্মাবলম্বী শ্যাম প্রসাদ বণিক নামের স্থানীয় এক জুয়েলারী দোকান মালিক নানা প্রলবণ দেখিয়ে তার স্ত্রীর সাথে অনৈতিক ও পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত হয়।
এসব অনৈতিক কর্মকান্ডের খবর পেয়ে দেশে ফিরে তার স্ত্রী শাহেদা আক্তারকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করায় সে স্বামীকে নানা ভাবে মনসিক টর্চার ও কৌশলে শ্যাম প্রসাদ বণিকসহ মিলে তাকে বিষ খাইয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা করে।পরে বাধ্য গত ৬ জানুয়ারী ২০২০ স্ত্রী শাহেদা ক্তারকে তালাক দেন।স্ত্রী শাহেদা শ্যাম প্রসাদের সাথে মিলে মিথ্যা নির্যাতন ও যৌতুক মামলা দিয়ে উল্টো তাকে হয়রানী শুরু করে ।
সে সাথে তার মেয়েকে শ্যাম প্রসাদের করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মিথ্যা স্বাক্ষী দেয়া থেকে শুরু করে বাবার সাথে দেখাও করতে দিচ্ছে না অভিযোগ তুলেন অসহায় এ পিতা।