পাবনার চাটমোহরে সোনালী আঁশ পাট চাষে কৃষকের সুদিন ফিরেছে। শষ্য ভান্ডার খ্যাত চলনবিলে চলতি পাট মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় পাট কাটা, জাগ দেওয়া ও পাটকাঠি থেকে পাট ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা। অন্য বছরের তুলনায় এবার পাটের ভালো ফলন ও দাম বেশি হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাঁসি ফুটেছে।
চলনবিলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বর্ষার পানি ও ভারি বৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন জলাশয়ে পানি জমে। সেই পানিতেই এখন চাষিরা পাট কেটে নদী, নালা, খাল, বিল ও ডোবায় পাট জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো এবং হাটে বাজারে তা বিক্রিসহ এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার কোথাও কোথাও দেখা গেছে নারী-পুরুষের অংশ গ্রহনে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর কাজ করতে।
চাটমোহর কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় গত বছরের চেয়ে এবার ৫০ হেক্টর জমিতে বেশী আবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমে লক্ষমাত্র ছিল ৮ হাজার ৮২০ হেক্টর। উপজেলায় ৮ হাজার ৮৭০হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।
উপজেলার হান্ডিয়াল পাকপাড়া গ্রামের পাট চাষি নাজমুল হোসেন বলেন, সে এবছর পাঁচ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। এক বিঘা জমিতে পাট চাষে প্রায় ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হয়। পাট উৎপাদন হয় প্রায় ৮-১০ মন। যার বাজারদর প্রায় ২৮ হাজার টাকা। এছাড়া বিঘা প্রতি প্রায় ২ হাজার টাকার পাটকাঠি পাওয়া যায়। গত বছর ভরা মৌসুমে প্রতিমণ পাট ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হলেও এবছর বিক্রি হচ্ছে ৩০০০-৩২০০ টাকা। ক্রমশই পাটের দাম বাড়ছেই।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুমবিল্লাহ জানান, পাট চাষীদের সুদিন ফিরেছে। পাটের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার পাট চাষে ঝুঁকেছে কৃষক। পাট চাষ করে কৃষক এখন অনেক লাভবান হচ্ছেন। এ বছর উপজেলায় ২ হাজার ৩০০ জন কৃষকদের মাঝে পাট বীজ বিতরণ করা হয়েছে।